জাতীয়

ঈদের চারদিনে জাতীয় অর্থোপেডিকে ৯৮২ রোগী

রাজধানীতে কোরবানির পশুর মাংস কাটতে গিয়ে ও বাইক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ঈদের দিন সকাল থেকে বুধবার (১৩ জুলাই) রাত ১২টা পর্যন্ত চারদিনে ৯৮২ জন জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসা নিয়েছেন।

Advertisement

তাদের মধ্যে ৮০ শতাংশ মানুষ পশু কোরবানি দিতে এবং মাংস কাটতে গিয়ে আহত হয়েছেন এবং ২৭ জনের অবস্থা গুরুতর, বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন বলে সংশ্লিষ্ট মাধ্যমে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে রোগীর নাম এন্ট্রি করার দায়িত্বরত নার্সরা জানান, ঈদের দিন সকাল থেকে বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত হাত-পা কাটা ও বাইক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ৭৫২ জন হাসপাতালে এসেছেন। এর মধ্যে ঈদের দিন (১০ জুলাই) এসেছেন ২৭০ জন (পুরুষ ২১৬ জন ও নারী ৫৪ জন), ঈদের পর দিন ১১ জুলাই এসেছেন ২৬১ জন (পুরুষ ১৯৮ ও নারী ৬৩), ঈদের তৃতীয় দিন ১২ জুলাই এসেছেন ২৩০ জন (পুরুষ ১৭৪ ও নারী ৫৬) ও চতুর্থ দিন ১৩ জুলাই এসেছেন ২২১ জন (পুরুষ ১৬৩ ও নারী ৫৮)। তাদের মধ্যে ৮০ শতাংশ মানুষ পশু কোরবানি দিতে বা মাংস কাটতে গিয়ে আহত হয়েছেন। বাকিরা বাইক ও সড়ক দুর্ঘনায় আহত হয়েছেন।

নার্সরা জনান, গত চারদিনে মোটরসাইলে আহত হয়ে ২০৩ জন হাসপাতালে এসেছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই গুরুত্বর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে, কোরবানির পশুর মাংস কাটতে গিয়ে আহতদের মধ্যে ২৭ জন ছাড়া বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা চলে গেছেন। এ ২৭ জনের অবস্থা গুরুতর।

Advertisement

জানতে চাইলে জরুরি বিভাগের সিনিয়র চিকিৎসক তপন কুমার পাল জাগো নিউজকে বলেন, কোরবানির পশু কাটতে গিয়ে প্রতি বছর হাত-পা কেটে অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। এবার এর সংখ্যা কিছুটা বেশি। ঈদের দিন থেকে পরবর্তী তিনদিনের অধিকাংশই কোরবানির পশুর মাংস কাটতে গিয়ে আহত হয়েছেন।

তিনি জানান, গ্রাম থেকে আসা অপেশাদার কসাইয়ের পাশাপাশি অসাবধানতা কিংবা অসচেতনতার কারণে কোরবানি দিতে গিয়ে আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আর তাতে কারও হাত, কারও পা অথবা শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে গেছে। এগুলোর পাশাপাশি কোরবানি দিতে গিয়ে গরুর শিংয়ের আঘাতে আহত হয়েছেন অনেকেই।

এমএইচএম/এমএএইচ/এমএস

Advertisement