সাকিব আল হাসান থাকলে হয়তো ওয়ানডে সিরিজে সুযোগই পেতেন না নাসুম আহমেদ। ব্যক্তিগত কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের ওয়ানডে সিরিজ থেকে ছুটি নিয়েছেন সাকিব। তাতেই নাসুমের কপাল খুলেছে।
Advertisement
ভাগ্যক্রমে পাওয়া সুযোগটি কী দারুণভাবেই না কাজে লাগালেন সিলেটের ২৭ বছর বয়সী এ বাঁহাতি স্পিনার। রোববার প্রথম ম্যাচে ৮ ওভারে তিন মেইডেনসহ মাত্র ১৬ রান করে উইকেটশূন্য ছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচে ১০ ওভারে চার মেইডেনে ১৯ রান দিয়ে উইকেট নিয়েছেন তিনটি, জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।
হয়তো সিরিজের শেষ ম্যাচেও নাসুম এমন জাদুকরী বোলিং করবেন। কিন্তু নিশ্চয়তা পাবেন না পরের সিরিজেও একাদশে থাকার। কেননা সাকিব ফিরলে কম্বিনেশন বিবেচনায় বাংলাদেশ দুই বাঁহাতি স্পিনার নিয়ে নামবে কি না সেটিও দেখার বিষয়।
তবে এসব নিয়ে ভাবতে রাজি নন নাসুম। শুধু সাকিব নয়, দলের কারও সঙ্গেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান না তিনি, ‘তাইজুল (ইসলাম) ভাই ওনার জায়গায় খেলবে, আমি আমার জায়গায়। আমি তাইজুল ভাইয়ের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই না, সাকিব ভাইয়ের সঙ্গেও না।’
Advertisement
সতীর্থের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বদলে পারফরম্যান্সের মাধ্যমে নিজের কাজ করে রাখার দিকেই মনোযোগ নাসুমের, ‘দলে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছি এমন না। যে কটা ম্যাচই খেলি, ভালো খেলার প্রবণতা থাকে। স্থায়ী হয়ে গেছি, এটি মনে করি না। আমাকে খেলতে হলে পারফর্ম করেই খেলতে হবে।’
দুই ম্যাচে ১৮ ওভার বোলিং করে মাত্র ৩৫ রান খরচ করেছেন নাসুম। প্রথম ম্যাচে ৮ ওভারে তার ডট বল ছিল ৪০টি। বুধবার ছাড়িয়ে গেছেন নিজেকে। পুরো দশ ওভারের স্পেলে ৪৮টি বলে কোনো রান দেননি নাসুম। মূলত ডট বল করারই পরিকল্পনা থাকে তার।
নাসুম বলেছেন, ‘আমার প্রথম পরিকল্পনাই থাকে ডট বল করা। পাওয়ারপ্লেতে (বোলিং) করতে হয়, ফলে প্ল্যান থাকে যাতে রানটা আটকাতে পারি। ওই পরিকল্পনাতেই সফল হয়েছি। উইকেট পেয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ। প্রথম ম্যাচে উইকেট না পাওয়াতে যে আক্ষেপ ছিল, সেটি চলে গেছে আরকি।’
তিনি আরও বলেন, ‘খুব ভালো লাগছে। অপেক্ষা করছিলাম, সুযোগ আসবে, সুযোগ আসবে। এসেছে, (ভালো) করেছি, ভালো লাগছে। আর (দলের) সবাই পছন্দ করে। আমাকে নিয়ে সবাই মজা করে, হাসাহাসি করে। সবার সঙ্গেই ভালো সম্পর্ক। তামিম ভাই ব্যক্তিগতভাবে অনেক সমর্থন করে।’
Advertisement
এসএএস/এএসএম