টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কিপটে বোলিং করে আলাদাভাবে নজর কেড়েছেন নাসুম আহমেদ। ওয়ানডেতেও সে ধারা বজায় রাখলেন এ বাঁহাতি স্পিনার। দুই ম্যাচে ১৮ ওভার বোলিং করে সাতটি মেইডেন নিয়েছেন নাসুম। আজ দ্বিতীয় ম্যাচেই করেছেন চারটি মেইডেন ওভার।
Advertisement
গায়ানার প্রভিডেন্সে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৮ ওভারে তিন মেইডেনে মাত্র ১৬ রান খরচ করেছিলেন নাসুম। কিন্তু কোনো উইকেট পাননি। আজ নিজের প্রথম সাত ওভারেই ছাড়িয়ে যান আগের ম্যাচের বোলিংকে।
ক্যারিবীয় ব্যাটিং লাইনআপকে ছিন্নভিন্ন করে ব্যক্তিগত সাত ওভার শেষে নাসুমের বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড়ায় ৭-৪-৯-৩; অর্থাৎ সাত ওভারে মেইডেন চারটি, উইকেট নিয়েছেন তিনটি। তখনই জাগে আশা, বাংলাদেশের হয়ে ইনিংসে সর্বোচ্চ মেইডেনের রেকর্ডের।
কিন্তু পরের তিন ওভারে আর মেইডেন নিতে পারেননি নাসুম। ফলে অধরাই থেকে যায় মোহাম্মদ রফিকের রেকর্ড। ১৯৯৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ৫টি মেইডেন ওভার করেছিলেন বাংলাদেশের কিংবদন্তি স্পিনার রফিক।
Advertisement
গত দুই যুগেও আর কেউ রফিকের এই রেকর্ড ভাঙতে পারেননি। আজকের আগে সবশেষ ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই শফিউল ইসলাম এই রেকর্ডের কাছাকাছি গিয়েছিলেন। সেদিন ৯ ওভারে চারটি মেইডেন নিয়েছিলেন শফিউল।
শফিউলের প্রায় ১০ বছর পর আবার নাসুমের হাত ধরে ইনিংসে অন্তত ৪টি মেইডেন করা বোলারের দেখা পেলো বাংলাদেশ। রফিককে ছুঁতে না পারলেও, ৪ মেইডেনের মাধ্যমে সাকিব আল হাসান, মাশরাফি বিন মর্তুজাদের পাশে ঠিকই নাম তুললেন নাসুম।
সবমিলিয়ে বাংলাদেশের ষষ্ঠ বোলার হিসেবে ইনিংসে অন্তত ৪টি মেইডেন করলেন ২৭ বছর বয়সী নাসুম। তার আগে এ কৃতিত্ব দেখিয়েছেন রফিক (৩ বার), সাকিব (৩ বার), মাশরাফি (২ বার), সৈয়দ রাসেল (২ বার), মুশফিকুর রহমান বাবু ও শফিউল ইসলাম।
এছাড়া ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১২২টি মেইডেন ওভার করেছেন মাশরাফি। বাংলাদেশের আর কোনো বোলার ওয়ানডেতে ১০০ মেইডেন নিতে পারেননি। পঞ্চাশের বেশি মেইডেন নিয়েছেন সাকিব (৯১), আব্দুর রাজ্জাক (৭০) ও রফিক (৬৩)।
Advertisement
উল্লেখ্য, বিশ্ব ক্রিকেটে ওয়ানডে ফরম্যাটে ইনিংসে সর্বোচ্চ ৮ মেইডেনের রেকর্ড রয়েছে ভারতের বিষেন সিং বেদি (ইনিংসে ১২ ওভার) ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিল সিমন্সের। সবমিলিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ৩১৩ মেইডেনের বিশ্বরেকর্ড দক্ষিণ আফ্রিকার শন পোলকের দখলে।
এসএএস/