কুড়িগ্রামে অপহরণের ৩৬ ঘণ্টা পর শিশু ফাইম ইসলামকে (৭) পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় অপহরনকারী শ্রী পল্লব চন্দ্র রায়কে (২৫) আটক করা হয়েছে।পুলিশ ও ফাইমের বাবা একরামুল জানান, পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে গত মঙ্গলবার সদরের কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের মহেন্দ্র নারায়ণ গ্রামের একরামুল হকের বাড়িতে বেড়াতে আসে পল্লব চন্দ্র রায়। এক পর্যায়ে তার শিশু সন্তান ফাইমকে নিয়ে কুড়িগ্রাম শহরে বেড়ানোর কথা বলে কৌশলে অপহরণ করে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া নিয়ে যায়। সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলে পল্লব ও ফাইম বাড়ি না আসায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। এসময় পল্লবের মোবাইল ফোনে ফোন করে বন্ধ পাওয়া যায়।পল্লব ও ফাইমকে না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন তারা। পরের দিন বুধবার দুপুরে পল্লবের নম্বরে ফোন করলে সে জানায় তোমার ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। মুক্তিপণের ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ধরলা ব্রিজের পূর্ব পার্শ্বে নিয়ে আসতে বলে। উপায়ান্তর না পেয়ে ফাইমের বাবা সদর থানায় অপহরণের মামলা করে। পরে পুলিশ নিয়ে ব্রিজের পাড়ে কাউকে না পেয়ে ফেরত আসে।অপহৃত শিশু ফাইম জানায়, আমাকে মামা কুড়িগ্রাম বেড়ানোর কথা বলে নিয়ে যায়। পরে রাত হলে মামাকে বলি আমি বাড়ি যাব ক্ষুধা লাগছে। এসময় মামা আমাকে একটি পাউরুটি দিলে আমি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি আর কিছু জানিনা। ঘুম থেকে উঠে দেখি একটি ঘরে আমাকে আটকে রাখা হয়েছে।সদর থানা পুলিশের এসআই এমএ ফারুক জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহযোগিতা আর প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপহরণকারীর অবস্থান নিশ্চিত হওয়া যায়। বৃহস্পতিবার কুড়িগ্রামের তেঁতুলিয়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় থানা সংলগ্ন এলাকা মমিনপাড়ায় অভিযান চালিয়ে একটি ভাড়া বাসা থেকে অপহৃত ফাইমকে উদ্ধার করার পাশাপাশি অপহরণকারীকে আটক করা হয়। শুক্রবার তাদের কুড়িগ্রাম সদর থানায় নিয়ে আসা হয়। অপহৃত ফাইমকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর এবং আসামিকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।অপহরণকারী পল্লব চন্দ্র রায় ঠাকুরগাঁও সদর থানার হলপাড়ার বাসিন্দা শ্রী পরেশ চন্দ্র রায়ের ছেলে।নাজমুল হোসন/ এমএএস
Advertisement