অতিরিক্ত যাত্রী ও ঢাকায় ঢোকার মুখে যানজটের কারণে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে বেশির ভাগ বাসই দেরিতে ছাড়ছে। অনেকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও গন্তব্যে যাওয়ার বাস পাচ্ছেন না। প্রায় প্রতিটি বাসেই অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। এসব নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
Advertisement
মঙ্গলবার (১২ জুলাই) সকালে যাত্রাবাড়ী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ঈদুল আজহার একদিন পরও রাজধানীর সায়দাবাদ, যাত্রাবাড়ী থেকে খুলনা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরিয়তপুর, গোপালগঞ্জ, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুরসহ বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন পরিবহন যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যেতে দেখা গেছে।
সলিমুল্লাহ্ নামের এক ব্যক্তি ঈদের ছুটিতে গাজীপুর এসেছিলেন বেড়াতে। সকাল থেকে খুলনার বাসের টিকিট কিনে বসে আছেন। কাউন্টার থেকে বলা হয়েছে গাড়ি দেরি হতে পারে।
Advertisement
তিনি জাগো নিউজকে বলেন, চাকরি করি। ঈদের ছুটি পেয়ে গাজীপুরে বেড়াতে এসেছিলাম, এখন রাত হলেও খুলনায় যেতে হবে গাজীপুর ফিরে যাওয়ার উপায় নেই।
অনেকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও গন্তব্যে যাওয়ার বাস পাচ্ছে না। তাদের অভিযোগ, সকাল ১০টায় বাস কাউন্টারে আসলেও গাড়ি না আসায় বসে আছেন।
সকাল থেকে বাসের অপেক্ষায় আছেন আনিসুর রহমান। বেলা ১১টার দিকে কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, স্ত্রী-সন্তানসহ সকাল আটটায় টার্মিনালে এসেছেন। একটি বাসের চারটি টিকিট পেয়েছেন। গাড়ি দুপুর ১টায়। সঠিক সময়ে আসবে কি না সেটি কাউন্টার থেকে নিশ্চয়তা দিতে পারেনি।
টার্মিনালে বাসের অপেক্ষায় ছিলেন ফরিদ আহমেদ। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ভাঙ্গা ও পাঁচ চড়ের ভাড়া নির্ধারিত থাকলেও জনপ্রতি তিনশ টাকা নেওয়া হচ্ছে।
Advertisement
সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শরীয়তপুরের জাজিরার ভাড়া ২৫০ টাকা হলেও চারশ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া দাঁড়িয়েও যাত্রী নেওয়া হচ্ছে।
বরিশালের এক যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে জাগো নিউজকে বলেন, এখন যাত্রাবাড়ী বাস টার্মিনালকে দ্বিতীয় লঞ্চ টার্মিনাল মনে হয়। হাঁক-ডাক আর যাত্রীর পরিবেশ দেখে।
এদিকে, খুলনা, গোপালগঞ্জ, টুঙ্গিপাড়া, পিরোজপুর, নাজিরপুর, টেকের হাট, ফকির হাট, বাগেরহাট, মোড়েলগঞ্জ যাওয়া দোলা পরিবহন এবং ইমাদ পরিবহনের কাউন্টার থেকে জানানো হয়, দুটি পরিবহনেই সকাল সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত ২৭টি করে বাস ছেড়ে গেছে।
গোপালগঞ্জ এক্সপ্রেসের কাউন্টারে বসা একজন বলেন, আমাদের গাড়িতে সবসময় অতিরিক্ত যাত্রীর চাপের পাশাপাশি পথে বিভিন্ন জায়গায় যানজটে দীর্ঘ সময় আটকে থাকছে বাস। এতে বাস ছাড়তে দেরি হচ্ছে। তবে দুপুর পর্যন্ত কতটি বাস ছেড়ে গেছে তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি।
একটি বাসের চালকের সহকারী সবুর জানান, ঈদ উপলক্ষে একমুখী যাত্রীর চাপ বেশি। ঢাকায় ফেরার পথে যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। তাই ভাড়া কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি ভাড়া বেড়েছে ঢাকা-বরিশাল রুটে মাওয়ামুখী বাসে।
এফএইচ/এমএইচআর/জেআইএম