আন্তর্জাতিক

কে হবেন নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী, জানা যাবে ৫ সেপ্টেম্বর

বরিস জনসনের পর যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী ও কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতার নাম আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ কর্তারা। স্থানীয় সময় সোমবার (১১ জুলাই) এ তথ্য জানান তারা।

Advertisement

গত সপ্তাহ থেকে নেতৃত্বের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হয়েছে যখন ৫৮ বছর বয়সী বরিস জনসন পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। এর আগে দেশটির ৫৪ মন্ত্রী পদত্যাগ করেন।

সোমবার (১১ জুলাই) সংসদে টোরি এমপিদের প্রভাবশালী ১৯২২ কমিটি দলের নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য একটি সময়সূচির রূপরেখা দিয়েছে।

১৯২২ কমিটির চেয়ার গ্রাহাম ব্র্যাডি সাংবাদিকদের বলেছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে নমিনেশন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে এবং মঙ্গলবার এটি বন্ধ হবে। গ্রীষ্মকালীন বিরতি থেকে ফেরার পর আগামী ৫ সেপ্টেম্বর নতুন প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত হবেন।

Advertisement

এখন পর্যন্ত বরিস জনসনের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার দৌড়ে ১১ জন তাদের প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন। তাদের মধ্যে একটি বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দুজনকে বেছে নেওয়া হবে। সেই দুজনের মধ্যে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে একজনকে বেছে নেবেন কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যরা। এই প্রার্থী তালিকায় অন্যতম আলোচিত নাম বরিস জনসন সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রী লিজা ট্রাস ও অর্থমন্ত্রী তথা ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক। ঋষিকে বেছে নেওয়া হলে তিনিই হবেন ব্রিটেনের প্রথম অশ্বেতাঙ্গ প্রধানমন্ত্রী।

ঋষি ছাড়াও প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে আছেন আরও এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত। তিনি হলেন প্রীতি পটেল। তিনি বরিসের সরকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। প্রীতি কনজাভেটিভ পার্টির মুখপাত্রও ছিলেন এক সময়।

একের পর এক ভোটের মাধ্যমে টোরি এমপিদেরকে আগামী ২১ জুলাইয়ের মধ্যে দুই প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করতে হবে। যেখানে দলের প্রায় এক লাখ ৬০ হাজার সদস্য পরে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে দুইজনের মধ্যে একজনকে বেছে নেবেন।

১৯২২ কমিটির যুগ্ম-নির্বাহী সচিব, বব ব্ল্যাকম্যান বলেছেন যে তারা ২১ জুলাই গ্রীষ্মকালীন সংসদ বিরতির আগে এটি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

Advertisement

১৯২২ কমিটির ঠিক করে দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী, এবার মনোনয়নপত্র জমা দিতেই ২০ এমপির সমর্থন জোগাড় করতে হবে; প্রথম রাউন্ডের বাধা টপকাতে লাগবে অন্তত ৩০ এমপির সমর্থন।

এখন পর্যন্ত যারা নেতা হওয়ার দৌড়ে নেমেছেন, তাদের প্রত্যেকেই কর কমানোর অঙ্গীকার করলেও বিশ্লেষকরা বলছেন ভিন্ন কথা।

সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার আগ পর্যন্ত কর কর্তন ঠিক হবে না।

এদিকে, বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, উত্তরসূরী হওয়ার দৌড়ে কাউকেই সমর্থন দেবেন না তিনি।

সম্প্রতি একের পর এক বিতর্কে জড়ান বরিস জনসন ও তার সরকার। করোনা লকডাউন চলাকালে সরকারি বাসভবন ডাউনিং স্ট্রিটে একাধিক মদের আসর বসিয়ে তিনি সমালোচনার জন্ম দেন। গত মাসে তার বিরুদ্ধে দলীয় আস্থাভোট আনা হলেও তাতে পার পেয়ে যান বরিস।

তবে দলে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয় ডেপুটি চিফ হুইপ হিসেবে ক্রিস পিনচারকে নিয়োগের ঘোষণা দেওয়ার পর। সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বরিস স্বীকার করেন, ক্রিস পিনচারের অসদাচরণের অভিযোগের বিষয়টি তার জানা ছিল। তারপরও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তাকে ডেপুটি চিফ হুইপ করেন তিনি। এটি ছিল তার একটা ‘বাজে ভুল’।

সূত্র: এএফপি, এনডিটিভি

এসএনআর/জেআইএম