ঈদুল আজহার তৃতীয় দিন মঙ্গলবার (১২ জুলাই) তিনদিনের সরকারি ছুটি শেষ হলেও চিরচেনা যানজটের রাজধানী ঢাকা ফাঁকা ছিল। আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে লাখো মানুষ ঢাকা ছেড়ে চলে যাওয়ায় বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র। তবে ট্রেন, বাস ও লঞ্চে করে ঢাকা ফিরতে শুরু করেছে এসব মানুষ।
Advertisement
মঙ্গলবার (১২ জুলাই) জনবহুল এ মহানগরীর মিরপুর, গাবতলী ও ফার্মগেট ঘুরে দেখা গেছে এ ভিন্নরূপ। সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যা কম। এসব এলাকার প্রায় সবগুলো মোড়ই ছিল ফাঁকা। তিনদিনের সরকারি ছুটি শেষ হলেও এখনো সবাই অফিসে যোগ দেননি। বাড়তি ছুটি নিয়ে অনেকে নিজ নিজ এলাকায় অবস্থান করছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, কোনো কোনো সড়কে মিনিবাস চলছে, তাও সংখ্যায় কম। তবে, সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ি রয়েছে প্রচুর। বেশকিছু গণপরিবহন দেখা গেলেও যাত্রী ছিল কম। ফাঁকা রাস্তা পেয়ে অনেকেই বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাতে দেখা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন— স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে লাখো মানুষ ঢাকা ছেড়ে চলে যাওয়ায় বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র। ট্রেন, বাসে, লঞ্চে করে ঢাকা ফিরতে শুরু করেছে এসব মানুষ।
Advertisement
জনবহুল এ মহানগরীর ব্যস্ততম এলাকাগুলোর প্রায় মোড়ই ছিল ফাঁকা। অফিসপাড়া খ্যাত মতিঝিলও সুনসান। ঈদের ছুটির পরও এখনো সবাই অফিসে যোগ দেননি। সরকারি ছুটির সঙ্গে বাড়তি ছুটি নিয়ে অনেকে নিজ নিজ এলাকায় অবস্থান করছেন। অন্যান্য দিনের তুলনায় ঢাকার বাতাস ছিল নির্মল। গাড়ির হর্নও তেমন ছিল না।
মিরপুরে কথা হলে একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা কবির আহমেদ জাগো নিউজকে জানান, তিনি কারওয়ানবাজারে একটি বেসরকারি ব্যাংকে রয়েছেন। ছুটি শেষ হলেও অনেকেই আজ অফিসে যোগ দেবেন না। তারা বাড়তি ছুটি নিয়েছেন। অনেকে রোজার ঈদে ছুটি নিয়েছেন, তাই এবার পাননি। তবে ঈদের আমেজ অফিস করতে ভালো লাগে। যানজট কম থাকে, আবার অফিসে কাজও কম থাকে। দুই-একদিনের মধ্যে অফিসপাড়া আবারও রমরমা হয়ে উঠবে।
এসএম/এমএএইচ/জেআইএম
Advertisement