জাপানের পশ্চিমাঞ্চলের নারা শহরে নির্বাচনী বক্তব্য দেওয়ার সময় পেছন থেকে গুলি করা হয় ৬৭ বছর বয়সী জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে। শেষ পর্যন্ত বাঁচানো গেলো না তাকে। জাপানের মতো দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ওপর শুক্রবারের হামলার ঘটনায় স্তম্ভিত গোটাবিশ্ব। কী কারণে তার ওপর হামলা চালানো হলো তা নিয়ে চলছে আলোচনা, বাড়ছে উদ্বেগ।
Advertisement
দেশটির পুলিশ বলছে, হামলাকারী যুবকের নাম তেতসুয়া ইয়ামাগামি। তিনি ওই এলাকারই বাসিন্দা। ৪১ বছর বয়সী তেতসুয়া জাপানের সামুদ্রিক আত্মরক্ষা বাহিনীর সাবেক সদস্য।
তেতসুয়া ইয়ামাগামি বিশ্বাস করতেন, ‘তার মায়ের ঋণখেলাপির জন্য আবে দায়ী। এ কারণে কয়েক মাস ধরে পরিকল্পনা করে শুক্রবার জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের ওপর হামলা চালান তিনি।’
বেকার ছিলেন তেতসুয়া ইয়ামাগামী। তিনি শিনজো আবেকে পেছন থেকে গুলি করেন। গুলি চালানোর পর নির্বিকারও ছিলেন তিনি। তাকে পালাতে দেখা যায়নি।
Advertisement
তেতসুয়া ইয়ামাগামি একা থাকতেন। তার প্রতিবেশীরা রয়টার্সকে জানান, কিছু জিজ্ঞেস করা হলেও কোনো উত্তর দিতেন না ইয়ামাগামি।
আবে হত্যাকাণ্ডের পর এ ঘটনার তদন্ত সূত্রের বরাত দিয়ে একটি খবর প্রকাশ করেছে কিওডো নিউজ। এতে বলা হয়েছে, ওই বন্দুকধারী বিশ্বাস করতেন, আবে একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সাহায্য সহযোগিতা করতেন। এই ধর্মীয় গোষ্ঠীকে অর্থ দিতে গিয়ে তার মা ঋণখেলাপি হয়েছেন।
ইয়োমিউরি সংবাদপত্র ও অন্যান্য সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, তিনি পুলিশকে বলেছেন তার মা অনুদান থেকে দেউলিয়া হয়ে গেছেন। ওই বন্দুকধারী পুলিশকে আরও বলেছেন, ‘আমার মা একটি ধর্মীয় দলে জড়িয়ে পড়েছিলেন এবং আমি এতে বিরক্ত ছিলাম।’
জাপানের আরও কয়েকটি গণমাধ্যম এমন খবর প্রকাশ করেছে। তবে আবে কোন ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সাহায্য সহযোগিতা করতেন, তা প্রকাশ করা হয়নি। এ ছাড়া যেখানে আবেকে গুলি করা হয়েছে, সেই নারা শহরের পুলিশও এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে নারাজ।
Advertisement
ইয়ামাগামি অনলাইনে সরঞ্জাম কেনার পর বাড়িতেই বানিয়েছেন অস্ত্র। কয়েক মাস ধরে হামলার পরিকল্পনা করেন ওই যুবক। এমনকি আবের প্রচারের অন্যান্য অনুষ্ঠানে যোগদান করেছেন তিনি।
এনএইচকে সম্প্রচার মাধ্যমের তথ্য বলছে, বন্দুক হামলা করার আগে বোমা হামলার পরিকল্পনাও করেন ওই যুবক।
সূত্র: রয়টার্স, সিএনবিসি
এসএনআর/এএসএম