গাবতলী বাস টার্মিনাল সংলগ্ন প্রধান সড়কে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে সাতটি ব্যক্তিগত গাড়ি। পাশেই ফুটপাতে টুল পেতে বসে আছেন চালকরা। কেউ কেউ উত্তরবঙ্গগামী কিংবা পাটুরিয়া, আবার কেউ আরিচা ঘাটের যাত্রী খুঁজছেন। বেলা গড়িয়ে দুপুর হলেও যাত্রী না পাওয়ায় চালকদের মুখে ছিল মলিন।
Advertisement
শনিবার (৯ জুলাই) দুপুরে গাবতলী বাস টার্মিনাল সংলগ্ন সড়কের ফুটপাতে জাগো নিউজের সঙ্গে কথা হয় গাড়িগুলোর চালকদের। তারা জানান, গতকাল (শুক্রবার) যাত্রী কম থাকলেও আজ একেবারে যাত্রী নেই। সকাল থেকে এ পর্যন্ত মাত্র একটা গাড়ি পাটুরিয়া ঘাটে গেছে।
গাড়ি চালক মোহাম্মদ মনির বলেন, আপাতত কোনো যাত্রী নেই। গত দুইদিন ভালোই যাত্রী ছিল। গতকাল (শুক্রবার) আরিচা ঘাট দুই ট্রিপ যাত্রী নিয়ে গেছি। আর মানিকগঞ্জ একবার গেছি। ভালোই ইনকাম হইছে।
তিনি আরও বলেন, ঈদ উপলক্ষে ৫০০ টাকা বেশি নিছি। এখন আর ঢাকার বাইরে কোনো যাত্রী যাবে না। ঈদের পরে ঢাকায় যাত্রী আসবে। এবার জনপ্রতি আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা নিয়েছে।
Advertisement
আরেক গাড়ি চালক জানান, গত বৃহস্পতিবার তিনি রংপুর গিয়েছিলেন। যানজটের কারণে ৩৫ ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। শুক্রবার গাড়ি বের করেননি তিনি। আজ (শনিবার) সকাল থেকে কোনো যাত্রী পাননি।
চালকরা জানান, ঈদের সময় উত্তরের জেলা রংপুর, কুড়িগ্রামের ট্রিপে জনপ্রতি চার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা যাত্রীর কাছ থেকে বেশি নেন তারা।
আলমগীর নামে আরেকজন চালক দাবি করেন, এ গাড়িগুলো যায় যাত্রী নিয়ে, তবে আসে খালি। আবার যানজটের মধ্যেও স্টার্ট দিয়ে রাখা লাগে। ফলে আমাদের গ্যাস বেশি যায়। এজন্য আমাদের খরচ বেশি। আমরা খুব বেশি টাকা যাত্রীদের কাছ থেকে নেই না। কাউকে চাপিয়েও দেই না। দরদাম করে যাত্রীরা গাড়িতে উঠেন। মহিলা, বৃদ্ধ যারা বাসে চড়তে পারেন না তারাই সাধারণত গাড়িগুলোতে করে গ্রামে যান।
তিনি আরও জানান, গতকাল ৮০০ থেকে এক হাজার টাকায় এসব গাড়িতে করে পাটুরিয়া ঘাটে গেছে যাত্রীরা। আজ যাত্রী নেই, ৫০০ টাকা বললেও ঘাটে চলে যাবো।
Advertisement
এসএম/আরএডি/জেআইএম