দেশজুড়ে

পদ্মার ভাঙনে হুমকির মুখে রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি

পদ্মার ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে বিশ্বকবি কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শিলাইদহ কুঠিবাড়ি। একই সঙ্গে হুমকির মুখে পড়েছে কুমারখালী উপজেলার ৪টি গ্রামও। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, কুঠিবাড়ি রক্ষা বাধ প্রকল্প পাশ হয়েছে। ভাঙন রোধে দ্রুতই কাজ শুরু করা হবে।পদ্মা তীরের কয়া ইউনিয়নের সুলতানপুর, বাড়াদী, কালোয়া এবং বেড়কালোয়া গ্রাম। বর্ষা মৌসুমে এই ক’টি গ্রামের বাসিন্দাদের দুশ্চিন্তার শেষ থাকে না। বসতভিটা, আবাদি জমি, খেলার মাঠ, রাস্তা-ঘাট, গাছপালা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় পদ্মার ভাঙনে। কিন্তু এ বছর বর্ষা শেষে শুকনো মৌসুমেও চলছে ভাঙন। একে একে নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে অসংখ্য বসতভিটা, আবাদি জমি। ছোট হয়ে আসছে ইউনিয়নের মানচিত্র।বাসিন্দারা জানান, ভাঙতে ভাঙতে তাদের আর পেছানোর জায়গা নেই। একজনের বাড়িতে পাঁচজনের বাড়ি হয়ে গেছে। এখন তারা কোথায় যাবো সেটাই চিন্তার কারণ। বছরের পর বছর পদ্মার এমন করালগ্রাসে হাজারো মানুষ সহায় সম্বলহীন হলেও সরকারি কোনো সহায়তা পায়নি তারা।স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড বারবার কাজ শুরুর কথা বললেও বাস্তবে এখনো কাজ শুরু হয়নি।কয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল ইসলাম স্বপন বলে, ‘এ এলাকার বহু বাড়িঘর বিলীন হয়ে গেছে। এলজিডির এক কিলোমিটার রাস্তাও এখন হুমকির সম্মুখীন। আমি মনে করি এখনই ভাঙন রোধ করা সম্ভব না হলে সামনে বড় সমস্যার সৃষ্টি হবে।’কুমারখালী পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, শিলাইদহ কুঠিবাড়ি রক্ষা বাধ নামে ১৮৭ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের কাজ চলতি অর্থবছরেরই শুরু হবে।বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ওয়াহেদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘একনেকে এ প্রকল্প পাশ হয়েছে। ডিজাইনের কাজও আমরা শেষ করে এনেছি। ঠিকাদার নিয়োগের কাজ শেষ হলেই আমরা কাজ শুরু করতে পারবো। ওই প্রকল্পের দ্রুত বাস্তবায়ন চান ভাঙনকবলিত এলাকার বাসিন্দারা।বিএ

Advertisement