জাতীয়

স্পিকারের সঙ্গে ইরানি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত ড. আব্বাস ভায়েজি বৃহস্পতিবার তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত ২০ থেকে ৩০ এপ্রিল ইরানে অনুষ্ঠিতব্য ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সমর্থনে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগদানের জন্য স্পিকারকে আমন্ত্রণ জানান এবং তার নিকট আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন।এসময় রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও ইরান দুটি ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ এবং দু’দেশের মধ্যে সূদূর অতীত থেকে ঐতিহাসিক সম্পর্ক বিদ্যমান।তিনি শিক্ষা, সংস্কৃতি, বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারষ্পরিক সম্পর্ক জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং শিক্ষা,সাংস্কৃতিক বিনিময়সহ ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারে দু’দেশকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।বাংলাদেশের উন্নয়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনাকালে বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে অখ্যায়িত করা হয়।এ সময় ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী বলেন, ইরান বাংলাদেশের অন্যতম বন্ধু রাষ্ট্র এবং ইরানের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য অত্যন্ত সমৃদ্ধ।এসময় তিনি তার ইরান সফরের অভিজ্ঞতার বিবরণ দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ ও ইরানের জাতীয় সংসদ সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সুদৃঢ়করণের লক্ষে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ-ইরান সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ গঠন করা হয়েছে।স্পিকার বলেন, এই কমিটি দু’দেশের সংসদীয় রীতি-নীতি ও ভাবের আদান প্রদান ছাড়াও রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক বিষয়ে সহযোগিতার সম্ভাব্য দিকগুলো খুঁজে বের করবে। ইরানের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বি-পাক্ষিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক খুবই চমৎকার উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, ব্যবসা, বাণিজ্য, বিনিয়োগসহ সকল উন্নয়নের ক্ষেত্রে ইরানের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে সহযোগিতা প্রদানের সুযোগ রয়েছে এবং বাংলাদেশ ইরানের ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে লাভবান হতে পারে। ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এসময় ইরানের স্পিকার আলী লারিজানিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং রাষ্ট্রদূত ড. আব্বাস ভায়েজিকে জাতীয় সংসদে আসায় ধন্যবাদ জানান। রাষ্ট্রদূত সময় প্রদান করায় স্পিকারকে ধন্যবাদ জানান।একে/পিআর

Advertisement