দেশজুড়ে

মিরসরাইয়ে কুকুরের কামড়ে আহত ৩৫

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে পাগলা কুকুরের কামড়ে শিশু, কিশোর, বৃদ্ধসহ অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন। উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নের ইসলামপুর, পূর্ব হিঙ্গুলী ও করেরহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ অলিনগর গ্রামে পৃথক ঘটনা ঘটে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) বিকেল থেকে শুক্রবার (৮ জুলাই) বিকেল পর্যন্ত আহত ৩৫ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।

কুকুরের কামড়ে আহতরা হলেন- বারইয়ারহাট পৌরসভার ইসলামপুর এলাকার খানসাবের মেয়ে রাজিয়া সুলতানা (১৩), পূর্ব হিঙ্গুলীর খোকনের পুত্র রেজাউল (১১), হান্নানের মেয়ে মারুফা আক্তার (৩), মাইমুনা খাতুন (৭), রুবেলের মেয়ে প্রমি (৯), দক্ষিণ অলিনগর গ্রামের মো. ইউসুফের মেয়ে লামিয়া (৯), ইসলামপুরের জামশেদ আলমের পুত্র মো. আরিয়ান (৩), নজরুল ইসলামের পুত্র মঞ্জুর মোর্শেদ (২০), মো. শহীদের পুত্র সায়মন (১৮), পূর্ব হিঙ্গুলীর ছেরাজুল হকের পুত্র আব্দুর রব (৮৪), দক্ষিণ অলিনগরের সিরাজুল হকের পুত্র আবু জাফর (৭০), ইসলামপুরের মো. রুবেলের পুত্র অভি (১৮), দক্ষিণ অলি নগরের আবুল হোসেনের পুত্র জুনায়েদ হোসেন (৮), কামরুল ইসলামের পুত্র নাহিদুল ইসলাম (৯), পূর্ব হিঙ্গুলীর বেলাল হোসেনের মেয়ে বিবি ফাতেমা (৫০), দক্ষিণ অলিনগরের মো. সাইদুলের মেয়ে বিবি খতিজা (৩২), রেজাউল করিমের মেয়ে বিবি আমেনা (১২), চৌধুরী বদিউল আলমের মেয়ে তারা মনি (৬)। তবে বাকিদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।

হিঙ্গুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোনা মিয়া সওদাগর জাগো নিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত আমার ইউনিয়নের ইসলামপুর, পূর্ব হিঙ্গুলী ও পার্শ্ববর্তী করেরহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ অলিনগর গ্রামের অনেককে একটি পাগলা কুকুর কামড় দিয়েছে। কুকুরের ভয়ে পুরো এলাকায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। আহত সবাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।

Advertisement

এ বিষয়ে মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মিনহাজ উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে ৩৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ইনজেকশন লিখে দেওয়া হয়েছে। সাধারণ কুকুরের কামড় কিংবা শরীরের কোনো অংশে আচড় দিলে পাঁচটি ইনজেকশন পুশ করতে হয়। কামড়ের সঙ্গে সঙ্গে একটি, পরে ক্রমান্বয়ে বাকি ইনজেকশন নিতে হয়।

তিনি আরও বলেন, কুকুরে কামড় দিলে প্রথমে ক্ষতস্থানে ২০ মিনিট ধরে ভালো করে সাবান দিয়ে ধুতে হবে। এরপর চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে ইনজেকশন নিতে হবে। তা নাহলে জলাতঙ্ক রোগ হওয়ার আশঙ্কা বেশি।

এসজে/এমএস

Advertisement