রাজবাড়ী শহরের ‘ডা. রতন ক্লিনিকে’ টনসিল অপারেশন করতে গিয়ে ফিরোজ কাজী (৪২) নামে এক রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
Advertisement
শুক্রবার (৮ জুলাই) রাতে ‘ডা. রতন ক্লিনিকে’ এ ঘটনা ঘটে। ফিরোজ কাজী মিজানপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সূর্য নগর এলাকার কালীনগরের বাসিন্দা।
জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে টনসিল সমস্যায় ভুগছিলেন ফিরোজ কাজী। শুক্রবার সকালে তিনি শহরের ডক্টরস কেয়ারে নাক, কান ও গলা রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মো. হাসান আলীকে দেখান। সে সময় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে ‘ডা. রতন ক্লিনিকে’ অপারেশনের চুক্তি হয়। সে অনুযায়ী বিকেলে ক্লিনিকে ভর্তি করা হয় ফিরোজ কাজী এবং সন্ধ্যা সাতটার দিকে তাকে অপারেশন থিয়েটারে ঢুকানো হয়। রাত ১১টা পর্যন্ত অপারেশন থিয়েটার থেকে বের না করা হলে স্বজনদের সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে তার জোর করে অপারেশন থিয়েটারের ভেতরে প্রবেশ করে দেখেন ফিরোজ কাজী বেঁচে নেই। একপর্যায়ে তারা ক্লিনিকের ম্যানেজারকে মারধর করেন। ঘটনার পর চিকিৎসক, সেবিকাসহ ক্লিনিকের দায়িত্বরত সবাই পালিয়ে যায়। পড়ে পুলিশ এসে নিরাপত্তা ইস্যুতে ক্লিনিকটি তালাবদ্ধ করে দেয়। সেখানে ভর্তি থাকা রোগীদের অন্য হাসপাতালে স্থানন্তর করেন।
নিহতের ভাই ইউনুছ কাজী, মা হাজেরা বলেন, সুস্থ মানুষ হেঁটে ক্লিনিকে এসেছে। শুধু গলায় একটা অপারেশন করার কথা ছিল। কিন্তু অপারেশনের নামে হাসান আলী রোগীকে মেরে ফেলেছে। এখন ওই পরিবারের কি হবে। এর আগেও এ ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যু হয়েছে। তারা চিকিৎসক ও ক্লিনিক মালিকের ফাঁসির দাবি জানান।
Advertisement
মিজানপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমিনউদ্দিন আহম্মেদ টুকু বলেন, খবর পেয়ে তিনি ক্লিনিকে এসে দেখেন অপারেশন থিয়েটারে মরদেহ পড়ে আছে। কিন্তু চিকিৎসক বা অন্যান্য কেউ নেই। নিহত ব্যক্তি তার নির্বাচনী এলাকার। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার বিচারের চাই।
রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ক্লিনিকে চিকিৎসক, সেবিকা, বয়সহ কাউকে না পেয়ে নিরাপত্তা স্বার্থে ক্লিনিকটি তালাবদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এবং অন্য যারা ভর্তি ছিলেন তাদের অন্যত্র পাঠিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রুবেলুর রহমান/এমএএইচ/
Advertisement