খেলাধুলা

উইম্বলডনের ফাইনালে জকোভিচ, ২১তম গ্র্যান্ড স্ল্যামের দ্বারপ্রান্তে

শুক্রবারের ক্যামেরন নরি উইম্বলডনের সেমিফাইনালে শুরুটা যেভাবে করেছিলেন, তাতে অঘটন ঘটানোর রসদ তার হাতে ছিল। তবে অভিজ্ঞতায় মার খেয়ে যাওয়ায় সেটা আর হল না।

Advertisement

অ্যান্ডি মারের পর ব্রিটিশ খেলোয়াড় হিসেবে ঐতিহ্যবাহী টেনিসের বিশ্বকাপখ্যাত উইম্বলডনের গ্র্যান্ড স্ল্যামে ফাইনালে ওঠা হল না তার। বিশ্বের নাম্বার ওয়ান টেনিস খেলোয়াড় জকোভিচের কাছে হেরে গেলেন ২-৬, ৬-৩, ৬-২, ৬-৪ ব্যবধানে। রোববার শিরোপার লক্ষ্যে মাঠে নামবেন জকোভিচ।

সামনে নোভাক জকোভিচের মতো ছয় বারের উইম্বলডন জয়ী খেলোয়াড়। অন্য কেউ হলেই মানসিকভাবে পিছিয়ে থেকে নামতেন। তবে নরি ছিলেন যেন অন্য ধাতুতে গড়া। বাঁ-হাতে খেলেন বলে নাদালের সঙ্গে কিছুটা সাদৃশ্য আছে।

তবে খেলার মধ্যে নাদালের সঙ্গে কোনও মিল সেভাবে খুঁজে পাওয়া গেল না। অবশ্য প্রথম সেট বাদে। প্রথম সেটে অন্য নরিকে দেখা গেলো। বাকি ম্যাচে রইলেন কার্যত নিষ্প্রভ। দু’একটি দর্শনীয় শট ছাড়া প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলেন না একেবারেই।

Advertisement

সেট খোয়ানোটা যেন এবারের উইম্বলডনে নিয়ম করে ফেলেছেন জকোভিচ। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় রাউন্ড বাদে প্রতিটি ম্যাচে অন্তত একটি হলেও সেট খুইয়েছেন। কোয়ার্টার ফাইনালে ইয়ানিক সিনারের বিরুদ্ধে তো হেরেই বসেছিলেন প্রায়, প্রথম দু’টি সেট খুইয়ে।

সেমিফাইনালে নরির বিপক্ষেও সেই অশনি সংকেত ছিল। প্রথম সার্ভিসের জকোভিচকে ব্রেক করেন নরি। পঞ্চম গেমে আবার ব্রেক করলেন। ব্যাক হ্যান্ডে নিচু শট মেরেছিলেন। জকোভিচ আনফোর্সড এরর করলেন। সপ্তম গেমে আবার ব্রেক। জকোভিচকে দেখে এক সময় মনে হচ্ছিল, তিনি সত্যিই উইম্বলডন খেলতে নেমেছেন তো? আত্মবিশ্বাসের অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছিল তার খেলায়। নরির যতটা না কৃতিত্ব, তার থেকেও বেশি চোখে পড়ছিল জকোভিচের ভুল। ২-৫ পিছিয়ে পড়ার পর ফেরা কঠিন ছিল। পরের সার্ভ ধরে রেখে সহজেই প্রথম সেট পকেটে পুরে নিলেন নরি।

দ্বিতীয় সেটে দু’জনেই পাল্লা দিয়ে লড়ছিলেন। জকোভিচ এবং নরি দু’জনেই নিজেদের প্রথম তিনটি সার্ভ ধরে রাখেন। নরিকে চতুর্থ সার্ভে ভেঙে দেন জকোভিচ। নিজের সার্ভ ধরে রেখে সেট পকেটে পুরে ম্যাচে সমতা ফেরান। ম্যাচে ফিরে আত্মবিশ্বাস এক লাফে অনেকটাই বেড়ে যায় সার্বিয়ার তারকার। পরের দু’টি সেটে সেটা সহজেই বোঝা গেল।

তৃতীয় সেটের শুরুতেই জোকোভিচ ব্রেক করে দেন নরিকে। পঞ্চম গেমে আবার ব্রেক করেন। ততক্ষণে তিনি পুরোপুরি ছন্দ পেয়ে গিয়েছেন। দেখে মনে হচ্ছিল, এই জকোভিচকে বোধহয় আর কেউ আটকাতে পারবেন না। তা হয়ওনি। সহজেই নিজের পরের দু’টি সার্ভ ধরে রেখে ম্যাচ পকেটে পুরে নেন তিনি।

Advertisement

চতুর্থ সেটের শুরুটাও একই রকম ভাবে হয়। প্রথম গেমেই নরিকে ভেঙে এগিয়ে যান জকোভিচ। নরির দুর্বল ব্যাকহ্যান্ড এবং ততোধির দুর্বল ফোরহ্যান্ড জকোভিচকে এগিয়ে দেয়। সেখান থেকে আর ব্রেক করার দরকার হয়নি। নরিকে এর পর আর ম্যাচে ফিরতে দেননি জকোভিচ।

আইএইচএস/