জাতীয়

সায়েদাবাদে টিকিটের জন্য হাহাকার

আর একদিন পরই পবিত্র ঈদুল আজহা। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে গ্রামে ছুটছেন রাজধানীবাসী। আজ (শুক্রবার) সকাল থেকেই সায়েদাবাদে বাস কাউন্টারগুলোতে ছিল ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড়। তবে অধিকাংশ যাত্রীই টিকিট পাননি। বরিশাল অঞ্চলের বাসে চাপ বেশি থাকায় টিকিট পাচ্ছেন না তারা। এতে বাড়ি যাওয়া নিয়ে অনেকটা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন যাত্রীরা।

Advertisement

শুক্রবার (৮ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর সায়দাবাদ বাস টার্মিনালগুলোতে গিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা যায়।

সরকারি একটি প্রজেক্টে কাজ করেন মো. মামুন হোসেন তুহিন। দুদিন আগে ফোন দিয়েও টিকিট না পেয়ে দুপুরেই সায়দাবাদ বাস কাউন্টারে আসেন তিনি। বাগেরহাটে যাওয়ার জন্য কোনো টিকিট না পেয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন তিনি।

তুহিন বলেন, কাউন্টারে টিকিটের কথা বলছি। কিন্তু কোনো টিকিট দিচ্ছে না। বলছে টিকিট নেই। কীভাবে বাড়ি যাবো বুঝতে পারছি না। যদি টিকিট একেবারেই না পাই তাহলে ভেঙে ভেঙে যাবো।

Advertisement

নারায়ণগঞ্জের কাচপুর থেকে আসা মো. হেলাল খান বলেন, সায়েদাবাদ বাস কাউন্টারে এসে কোনো টিকিট পাইনি। অপেক্ষা করছি, যদি কোনো টিকিট ছাড়ে। নয়তো ভেঙে যেতে হবে।

টঙ্গীতে একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন মো. রুবেল। তিনি বলেন, টঙ্গীতে বরিশালের বাসের টিকিট পাইনি। ভেবেছিলাম সায়দাবাদ এসে কোনো একটা বাসের টিকিট পাবো। কিন্তু এক ঘণ্টা ধরে বিভিন্ন কাউন্টারে ঘুরে টিকিট পাচ্ছি না।

সাভার থেকে আসা মো. আসাদ বলেন, ভোরে বাস কাউন্টারে এসেছি। এখান থেকে টিকিট পাওয়া যাবে বলেই সাভার থেকে এসেছি। কিন্তু সায়েদাবাদ এসেও বাসের কোনো সিট পাচ্ছি না। দেখি অপেক্ষা করে, বাস না পেলে লঞ্চে যেতে হবে।

এদিকে, বাস কাউন্টারগুলো থেকে জানা যায়, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় বরিশাল রোডে যাত্রীর চাপ অনেক বেড়েছে। আগের বাসসহ নতুন বাস চালু হওয়ার পরও প্রতিটা বাসেই যাত্রী ভর্তি হয়ে যাচ্ছে। এর আগে রাত ১০টার পর কোনো বাস ছেড়ে না গেলেও এখন যাত্রীদের চাপের কারণে রাত দুইটার পরও বাস ছাড়তে হচ্ছে।

Advertisement

বাগেরহাটগামী ক্লাসিক মেঘনা এক্সপ্রেসের জেনারেল ম্যানেজার মো. সাইফুল ইসলাম জুয়েল জাগো নিউজকে বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। আমাদের সবগুলো বাসই এখন চলাচল করছে। তার পরেও যাত্রীদেরকে টিকেট দিতে পারছি না।

আরএসএম/আরএডি/এমএস