পতন যেন পিছু ছাড়ছে না, পতন চক্রে যেন আবৃত শেয়ারবাজার। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে (বৃহস্পতিবার) দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে সূচকের পতন ধারায় লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন ডিএসইতে আগের দিনের চেয়ে লেনদেন সামান্য বাড়লেও অপরবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) তা কমেছে। তবে দুই বাজারেই বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের দর কমেছে। এ নিয়ে টানা সাত দিন পতনে গেলো শেয়ারবাজার। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নাসডাক ওএমএস এবং ফ্লেক্সট্রেড নামক দুই কোম্পানির অটোমেশন ট্রেডিং সফটওয়্যার ব্যবহার করেছে। আর তাতে মাঝে মধ্যে লেনদেন জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। যা বুধবারও হয়েছিল। এর ফলে ২৯টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিতে পারেনি। অপরদিকে বাজারে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ভালো মৌল ভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানি আসছে না। সব মিলিয়ে দিন দিন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার সংকট দেখা দিয়েছে। তারা আরও বলছেন, প্রত্যক্ষভাবে দেখা না গেলেও লেনদেনের ধরন দেখে বুঝা যায় কারসাজিচক্র বাজারে ভর করছে। আর তা নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ইচ্ছে করলে খুজে বের করতে পারে। কিন্তু সেখানেও নিয়ন্ত্রণ সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আর এসব কারণেই বাজার ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না বলে মনে করছেন তারা। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার দিন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১২ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৫৭৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে এবং শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১০২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে এবং ডিএস৩০ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৭২৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।দিনশেষে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪০৫ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। যা আগের দিনের চেয়ে ৪৭ কোটি টাকা বেশি। বুধবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৩৫৮ কোটি টাকা।ডিএসইতে ৩২১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৯৯টির, কমেছে ১৭৪টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর।অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক ১২ পয়েন্ট কমে ৮ হাজার ৫৬৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সিএসই৫০ সূচক ২ পয়েন্ট কমে এক হাজার ১৭ পয়েন্টে, সিএসই৩০ সূচক ৩০ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ৩৬২ পয়েন্টে, সিএএসপিআই সূচক ১৮ পয়েন্ট কমে ১৪ হাজার ১০২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে মোট ২৫২টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে বেড়েছে ৭৭ টির, কমেছে ১৪৯টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টি কোম্পানির শেয়ার দর। লেনদেন হয়েছে ২৯ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট।এসআই/একে/পিআর
Advertisement