ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়ি বরিশাল যাওয়ার উদ্দেশ্যে স্বামীকে নিয়ে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে এসেছেন এক্সেসরিজ কোম্পানির সিনিয়র মার্চেন্ডাইজার জুলি। কিন্তু চার ঘণ্টা অপেক্ষা করেও মেলেনি বাসের টিকিট।
Advertisement
জুলি বলেন, এর আগে আমরা গাবতলী দিয়ে টেকেরহাট চলে যেতাম। সেখান থেকে সহজেই বাসে বাড়ি চলে যেতে পারতাম। অনেকেই বলেছিলেন, পদ্মা সেতু হওয়ায় সায়েদাবাদে এসি, নন-এসি বাস পাওয়া যাচ্ছে।
‘স্বামী গাবতলী থেকে উঠতে বললেও আমি জোর করে সায়েদাবাদে এসেছি। এখন টিকিট পাচ্ছি না। উনি আমার ওপর ভালোই রেগে আছেন। দেখি কখন টিকিট পাওয়া যায়।’
জুলির মতো আরও অসংখ্য যাত্রীকে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে টিকিটের অপেক্ষায় দেখা যায়।
Advertisement
মাদারীপুরগামী সাইফুল ইসলাম বলেন, তিন ঘণ্টা ধরে টিকিটের অপেক্ষায় রয়েছি। পদ্মা সেতু না হলে ভেঙে ভেঙেই বাড়ি চলে যেতাম। বাসের টিকিটের জন্য এরকম দাঁড়িয়ে থাকা আমার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা। আগে মাওয়া থেকে ফেরি পার হলে, ওপার থেকে সহজেই বাস মিলতো। পদ্মা সেতু হওয়ায় ভাবলাম আর ভেঙে যাওয়া লাগবে না। খুব আনন্দ নিয়ে সকাল সকাল টিকিট কাটতে এসেছিলাম, কিন্তু এখনও পাইনি, পাচ্ছি না।
সোনালী পরিবহনের এক কর্মচারী বলেন, বাসই নেই, টিকিট কীভাবে দেব। আজ যাত্রীদের চাপ অনেক বেশি। তার ওপর রাস্তায় জ্যাম থাকায় বাস পৌঁছাতে দেরি হচ্ছে।
এএএম/এসএএইচ/জেআইএম
Advertisement