আফ্রিকা মহাদেশের দারিদ্রপীড়িত ইরিত্রিয়ার সরকার দেশটির পুরুষদের জন্য অভিনব একটি ফতোয়া জারি করেছে। সরকার বলছে, দেশটির সব পুরুষকে দুটি বিয়ে করতে হবে নতুবা কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। আফকইনসাইডার ডটকমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে দেশটির গ্রান্ড মুফতি এ বিষয়ে একটি ফতোয়া জারি করেন। মুসলিম অধ্যুষিত এ দেশটিতে ইসলামি বিভিন্ন বিধি-নিষেধ গ্রান্ড মুফতি জারি করেন; যা সরকারি আদেশ হিসেবে পালন করতে হয়। ফতোয়ায় বলা হয়েছে, নির্দেশ অমান্য করলে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। এমনকি কোনো স্ত্রী যদি তার স্বামীকে দ্বিতীয় বিয়ে করতে বাধা দেন তাকেও সাজা দেয়ার বিধান রয়েছে।আরবি ভাষায় ইরিত্রিয়া সরকারের এক বিবৃতির অনুবাদ ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পুরুষদের দুটি বিয়ের অনুষ্ঠানের খরচ ও কমিউনিটি হাউজের ভাড়া পরিশোধ করবে সরকার।প্রতিবেশি রাষ্ট্র ইথিওপিয়ার সঙ্গে গৃহযুদ্ধে দেশটির হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। ফলে কার্যত পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে ইরিত্রিয়া। এ সংকট কাটিয়ে উঠার জন্য সরকার নতুন এ ফতোয়া জারি করেছে। ফতোয়ায় আরো বলা হয়েছে, বহুগামিতা নিয়ে ঈশ্বরের আইন মেনে এবং দেশে পুরুষ কমে যাওয়ার পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকারের ধর্ম সংক্রান্ত বিভাগ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রত্যেক পুরুষ অন্তত দু’জন নারীকে বিয়ে করবেন এবং যে পুরুষ তা করতে অস্বীকার করবেন তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। এছাড়া যে নারী তার স্বামীকে দ্বিতীয় বিয়ে করতে বাধা দেবেন তাকেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হবে। ইরিত্রিয়া ১৯৯৩ সালে ইথিওপিয়া থেকে পৃথক হয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এরপর ১৯৯৮ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত দেশ দুটির মধ্যে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়। এতে কমপক্ষে দেড় লাখ সেনা সদস্যের প্রাণহানি ঘটে। এসআইএস/পিআর
Advertisement