রাজনীতি

শেখ মুজিবের মাজারও ঢাকায় আনুন : নজরুল ইসলাম

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজার ঢাকা থেকে না সরিয়ে প্রয়োজনে শেখ মুজিবুর রহমানের মাজারও ঢাকায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) মিলনায়তনে জিয়াউর রহমানের ৮০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, সাংবিধানিক অধিকার সুরক্ষা ও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে’ অনুষ্ঠিত এক চিকিৎসক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি। ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এ সমাবেশের আয়োজন করে।সরকারের উদ্দেশে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘ক্ষমতায় এসেই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে যাওয়ার বেইলি ব্রিজ সরিয়ে দিয়েছেন। এখন লুই আন ক্যানের নকশার দোহাই দিয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থেকে তার মাজার সরানোর দুঃস্বপ্ন দেখছেন। বুঝি,  আপনাদের (আওয়ামী লীগ) নেতার (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) মাজার অনেক দূরে। ওটাও এখানে (ঢাকায়) নিয়ে আসেন। তিনি বলেন, জিয়ার মাজার সরানোর দরকার কি। জিয়াউর রহমানের অপরাধ কি? প্রয়োজনে নতুন করে একটা জানাজার আয়োজনও করতে পারেন, যাতে জিয়াউর রহমানের জানাজার চেয়ে বেশি লোক হয়।   প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের মাজার নিয়ে ষড়যন্ত্র বন্ধ করুন। এর চেয়ে অনেক বড় বড় কাজ পড়ে আছে। এ দেশের মানুষ এখনো না খেয়ে থাকে। লক্ষ কোটি লোক এখনও বেকার। বহু মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে। বহু ছেলেমেয়ের লেখা-পড়া হয় না। এ সব সমস্যার কোনো উদ্যোগ নেয়া হয় না। এগুলো সমাধানের উদ্যোগ নিন।   তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের অনেক নেতা জিয়াউর রহমানকে পাকিস্তানের এজেন্ট বলেন। কিন্তু তারা একবারও ভাবেন না জিয়াউর রহমান যদি পাকিস্তানের এজেন্ট হয়, তাহলে তাকে যিনি (শেখ মুজিবুর রহমান) বীরউত্তম খেতাব দিয়েছেন তিনি কে? জিয়াকে ছোট করতে গিয়ে তারা নিজেদের নেতাকেও ছোট করে ফেলছেন। কিন্তু সে জ্ঞানও তাদের নেই।জিয়া পরিবার ও বিএনপিকে টার্গেট করে ধ্বংস করা হচ্ছে এমন অভিযোগ করে নজরুল ইসলাম বলেন, জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। যেসব বই-পুস্তকে জিয়ার নাম আছে সেসব বই লাইব্রেরি থেকে বের করে তা পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। বিএনপি নেতা-কর্মীদের নানাভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে। খুন-গুম ও কারাগারে আবদ্ধ করা হচ্ছে।বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা গণতন্ত্র আজ আইসিউতে আছে। তবে এখনো মরে যায়নি। কারণ, যেভাবেই হোকে একটি সংসদ রয়েছে। কিছু লোক সেখানে কথাও বলেন। মৃতপ্রায় গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হবে। এজন্য সবাইকে এক সাথে কাজ করতে হবে।ড্যাব সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. রফিকুল কবির লাবুর সভাপতিত্বে এতে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন-বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, ড্যাব মহাসচিব অধ্যাপক  ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আয়োজক সংগঠনের নেতা অধ্যাপক ডা. সিরাজ উদ্দিন, অধ্যাপক ডা. আবদুল মান্নান, অধ্যাপক ডা. আবদুল কুদ্দুস, অধ্যাপক ডা. আবদুস সালাম, অধ্যাপক ডা. রফিক আল কবির, অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু প্রমুখ।এমএম/এসকেডি/পিআর

Advertisement