ছাগলের মধ্যে দেশি ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতটি বেশ জনপ্রিয়। অন্যদিকে দেশি ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল পালনের অনেক সুবিধা রয়েছে। দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয়ের অন্যতম উৎস এই ছাগল পালন। এছাড়া বর্তমানে অনেক বেকার যুবক দেশি ব্লাক বেঙ্গল পালন করে বেকারত্ব দূর করছেন।
Advertisement
দেশি ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল আকারে ছোট। এ জাতের ছাগলের শিং ছোট ও পা খাটো। এদের পিঠ সমতল। কানের আকার ১১ থেকে ১৪ সেন্টিমিটার এবং সামনের দিকে সুচালো। একটি পূর্ণ বয়স্ক পুরুষ ছাগলের ওজন হয় ২৫ থেকে ৩০ কেজি, মাদী ছাগলের ২০ থেকে ২৫ কেজি। পূর্ণবয়স্ক ছাগলের উচ্চতা ৫০ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে।
দেশি ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল পালনে অনেক সুবিধা রয়েছে। এটি পালনে পারিবারিক আয় বাড়ে। আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়। অন্যদিকে পরিবারের গোশত ও দুধের চাহিদা মেটে। পারিবারিক আমিষের চাহিদা পূরণ হয়। এ ছাড়া চামড়া রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা যায়।
এই জাতের ছাগলের দুধ খুবই পুষ্টিকর এবং এলার্জি উপসর্গ উপশমকারী। ব্ল্যাক বেঙ্গলের গোশত সুস্বাদু ও চামড়া আন্তর্জাতিকভাবে উন্নতমানের বলে স্বীকৃত। বেশি বাচ্চা উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন এবং দেশীয় জলবায়ুতে বিশেষভাবে উৎপাদন উপযোগী। ছাগল পালনে অল্প জায়গার প্রয়োজন হয়, পারিবারিক যে কোনো সদস্য এটি দেখাশোনা করতে পারেন।
Advertisement
শয়ন ঘরে বা রান্না ঘরে কিংবা শয়ন ঘরের পাশে সাধারণ মানের কম খরচে ঘরে রাখা যায়। দ্রুত বংশ বৃদ্ধি ঘটে বলে অল্প সময়ে সুফল পাওয়া যায়। এছাড়া সব ধর্মাবলম্বী লোকদের কাছে ছাগলের গোশত সমাদৃত।
ছাগল পালনে অন্যান্য পশুর মতো আলাদা বিশেষ গোচারণভূমির প্রয়োজন হয় না। ক্ষেতের আইলের, রাস্তার ধারে, বাড়ির আশপাশের অনাবাদি জায়গার ঘাস লতাপাতা খেয়ে জীবনধারণ করতে পারে।
বাড়ির আঙিনার আশপাশের লতাপাতা ছাগলের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যায়। অল্প পুঁজিতে লালন-পালন করা যায়। গবাদিপশুর মতো উন্নতমানের খাদ্য, আবাসন বা অন্যান্য বিশেষ যত্নের প্রয়োজন হয় না। এসব কারণে আমাদের দেশে দিন দিন ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তথ্য সূত্র: কৃষি তথ্য সার্ভিস
Advertisement
এমএমএফ/জেআইএম