মানুষ ইতিহাস আশ্রিত। অতীত হাতড়েই মানুষ এগোয় ভবিষ্যৎ পানে। ইতিহাস আমাদের আধেয়। জীবনের পথপরিক্রমার অর্জন-বিসর্জন, জয়-পরাজয়, আবিষ্কার-উদ্ভাবন, রাজনীতি-অর্থনীতি-সমাজনীতি একসময় রূপ নেয় ইতিহাসে। সেই ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা স্মরণ করাতেই জাগো নিউজের বিশেষ আয়োজন আজকের এই দিনে।
Advertisement
০৬ জুলাই ২০২২, বুধবার। ২২ আষাঢ় ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
ঘটনা১৫০৫- সিকান্দার শাহ লোদির রাজত্বকালে ভয়ানক ভূমিকম্পে আগ্রা বিধ্বস্ত হয়।১৮৮৫- বিখ্যাত ফরাসী চিকিৎসক ও বিজ্ঞানী লুই পাস্তুর রোগ প্রতিরোধক টীকা আবিষ্কার করেন।১৯৪৪- সুভাষচন্দ্র বসু আজাদ হিন্দ রেডিওতে গান্ধীজিকে জাতির জনক অভিধা প্রদান করেন।১৯৫৩- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা।১৯৭৯- মিশরে নীল নদের তীরে বিনানুল মূলক নামক গুহায় মিশরের ফেরাউন দ্বিতীয় রেমেসিসের মমি আবিষ্কৃত হয়।
জন্ম১৮৩৭- ভারতীয় গবেষক, প্রাচ্যবিদ ও সমাজ সংস্কারক রামকৃষ্ণ গোপাল ভাণ্ডারকর। ১৮৬৬- বাংলা ভাষায় প্রথম বিশ্বকোষের সংকলক, প্রত্নতাত্ত্বিক ও ইতিহাসবিদ নগেন্দ্রনাথ বসু।১৯০১- ভারতীয় শিক্ষাবিদ, লেখক এবং জাতীয়তাবাদী রাজনীতিবিদ ভারত কেশরী ড.শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। ১৯৪৬- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এর ৪৩তম প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ।১৯৮৫- ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা রণবীর সিং।
Advertisement
মৃত্যু১৮৯৩- ফরাসি কবি, গল্পকার ও ঔপন্যাসিক গি দ্য মোপাসাঁ।১৯৬২- সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন সাহিত্যিক উইলিয়াম ফকনার।২০১৪- খ্যাতকীর্তি লেখক, সমালোচক, গবেষক ও ছাত্রপ্রিয় অধ্যাপক শঙ্করীপ্রসাদ বসু।
২০১৭- বাংলাদেশি কৃষক, হরি ধানের উদ্ভাবক হরিপদ কাপালী। ১৯২২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ঝিনাইদহের সদর উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। নিজের ইরি ধান ক্ষেতে একটি ব্যতিক্রমধর্মী ধান গাছ দেখে হরিপদ কাপালী সে ধানটিকে আলাদা করে রাখেন। এরপর বীজ সংগ্রহ করে ১৯৯২ সালে নিজের ক্ষেতে এ ধান আবাদ করেন তিনি। পরে এই ধানের আবাদ সারা দেশেই ছড়িয়ে পড়ে। সেটিই পরে তার নামে হরি ধান পরিচিতি পায়। হরিপদ স্থানীয় জেলা প্রশাসন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র, ঢাকা রোটারি ক্লাবসহ বিভিন্ন সংস্থা থেকে প্রায় ১৬টি পদক পেয়েছেন।
২০২০- বাংলাদেশি গায়ক এন্ড্রু কিশোর। ১৯৫৫ সালের ৪ নভেম্বর রাজশাহী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। কিশোর ছয় বছর বয়স থেকে সংগীতের তালিম নেওয়া শুরু করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর তিনি রাজশাহী বেতারে নজরুল, রবীন্দ্র, লোকসংগীত ও দেশাত্মবোধক গান শাখায় তালিকাভুক্ত হন। তিনি বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের বহু চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন, যে'জন্য তিনি ‘প্লেব্যাক সম্রাট’ নামে পরিচিত। তার সবচেয়ে জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে ‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘হায়রে মানুষ রঙ্গীন ফানুস’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘আমার বুকের মধ্যে খানে’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন’, ‘ভেঙেছে পিঞ্জর মেলেছে ডানা’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’ প্রভৃতি। চলচ্চিত্রের গানের জন্য আরও সাতবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া তিনি পাঁচবার বাচসাস পুরস্কার ও দুইবার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেছেন।
কেএসকে/এমএস
Advertisement