তাপপ্রবাহের মধ্যে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ রাজধানীর বস্তিবাসী। একদিকে বস্তির টিনের ঘর, অন্যদিকে তাপদাহ। ফলে লোডশেডিং হলেই ঘর থেকে বেরিয়ে রাস্তায় আসতে হচ্ছে বস্তির বাসিন্দাদের। এছাড়া বস্তি এলাকার দোকানগুলোতে মোমবাতির বিক্রিও বেড়েছে কয়েকগুণ।
Advertisement
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) রাজধানীর কড়াইল বস্তি ঘুরে এমন তথ্য জানা গেছে। বস্তির বাসিন্দারা জানিয়েছেন, প্রতিদিন ৪-৫ বার লোডশেডিং হচ্ছে। দীর্ঘসময় বিদ্যুৎ না থাকা নৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। ১ জুলাই থেকে লোডশেডিং হচ্ছে। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন বস্তির বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীরা।
এদিকে, লোডশেডিংয়ের আগে অনেক সময় মাইকিং করে জানানো হয়ে থাকে। তবে এবার গ্রাহকদের অবগত না করেই অব্যাহত লোডশেডিং হচ্ছে। দ্রুত এমন পরিস্থিতিতে থেকে মুক্তি চান বস্তির বাসিন্দারা।
কড়াইল বস্তির বাসিন্দা হৃদয় হোসেন বলেন, ‘দিনে কারেন্ট (বিদ্যুৎ) তিনবারও যায়, আবার চারবারও যাচ্ছে। টিনের ঘরে কারেন্ট গেলে আর থাকা যায় না। কারেন্ট চলে গেলে সবাই বাইরে এসে বসি। আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা আর কারেন্টের খবর থাকে না।’
Advertisement
বস্তির আরেক বাসিন্দা রিকশাচালক আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘শরীরখান তো এহন আমাগো ব্রয়লারের লাহান হইয়া গ্যাছে। কারেন্ট গেলে টিনের ঘরে থাকোন যায় না। রাতেও কারেন্ট যায়, দিনেও যায়। তখন ঘর থেকে বাইর হইয়া আল্লাহর দেওয়া বাতাস খাই।’
অন্যদিকে লোডশেডিং বাড়ায় বস্তি এলাকায় বেড়েছে মোমবাতি বিক্রিও। প্রকারভেদে প্রতিটা মোমবাতি ৫-১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কড়াইল বস্তির দোকানি সোহেল রানা বলেন, ‘১ তারিখ (জুলাই) থেকে লোডশেডিং শুরু হয়েছে। এ কারণে মোমবাতি বিক্রি বেড়েছে। আগে হাতে গোনা কয়েকটা মোমবাতি বিক্রি হতো, এখন ডজন ডজন বিক্রি হচ্ছে। তবে দাম বাড়েনি।’
এমওএস/এএএইচ
Advertisement