দেশের শেয়ারবাজার উন্নয়নে আন্তর্জাতিক মানের নিয়ম নীতি করা হয়েছে। কিন্তু আইনের পুরোপুরি প্রয়োগ করতে পারছে না নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসসি) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নোত্তরে ডিএসই-এর চিফ ফাইন্যান্স অফিসার (সিএফও) ও ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মতিন পাটোয়ারী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশের স্টক এক্সচেঞ্জের উন্নয়নে আন্তর্জাতিক মানের বেশ কিছু নিয়ম নীতি করা হয়েছে। স্বচ্চতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিএসইসি যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে স্টক এক্সচেঞ্জগুলোকে ডিমিউচুয়ালাইজেশন, বুক বিল্ডিং পদ্ধতি চালু, কর্পোরেট গর্ভনেন্স গাইড লাইন বাধ্যতামূলক, অডিটরস প্যানেল গঠন, বিএসইসির স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠনসহ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে বেশ কিছু আইন সংস্কার করা হয়েছে। যা আন্তর্জাতিক মানের কিন্তু এগুলোর পুরোপুরি বাস্তবায়ন হচ্ছে না।ভবিষ্যতে এগুলো বাস্তবায়ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি বলেন, দেশের পেক্ষাপটে পুঁজিবাজার উন্নয়ন হচ্ছে তবে যে হারে হওয়ার কথা ছিল সেভাবে হচ্ছে না।গত বুধবার ২৯ ব্রোকারেজ হাউজে লেনদেনে বিঘ্ন ঘটার সম্পর্কে তিনি বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে মোবাইল অ্যাপস চালু হবে। এ লক্ষ্যে মঙ্গলবার রাতে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার চালু করতে সিস্টেমে পরিকল্পিত ও পরিক্ষিত আপগ্রেডের কাজ করা হয়। এ সময় সাইলোর কিছু সমস্যা হলে ডিএসইর ২৩৬টির মধ্যে ২৯টি ব্রোকারেজ হাউজে লেনদেনে বিঘ্ন ঘটে। বিষটি এখন তদন্তাধীন। সম্প্রতি গণমাধ্যমে পুঁজিবাজারকে জুয়াখানা ও গুজবের বাজার বলে উল্লেখ করেছেন একটি সরকারি সংস্থার প্রধান নির্বাহী, এর প্রতিক্রিয়ায় ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, পুঁজিবাজারকে জুয়াখানা বলা কোনোভাবেই যুক্তিসঙ্গত নয়। তবে পুঁজিবাজারে শেয়ার দর ওঠানামা করবে এটাই নিয়ম, পৃথিবীর সব শেয়ারবাজারে দর ওঠানামা করে। এটা কোনো ভাবে জুয়ার মধ্যে পড়ে না।বর্তমানে শেয়ারবাজার স্থিতিশীল রয়েছে উল্লেখ করে নেতিবাচক কথা বলে এ বাজারকে প্রভাবিত না করার আহ্বানও জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, বর্তমান বাজার মূলধন আগের চেয়ে বেড়েছে। তা দেখে বুঝা যায় বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা আছে। তবে বাজারে ট্রেডার কমে গেছে দীর্ঘ মেয়াদী বিনিয়োগ হচ্ছে। সম্প্রতি কয়েকটি বড় কোম্পানির নির্বাহীরা অভিযোগ করেছেন, বাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়া অনেকটা জটিল। স্টক এক্সচেঞ্জগুলোর উচিত তাদের সঙ্গে আলোচনা করে এই জটিলতাগুলো খুঁজে বের করা। পরবর্তীতে সেগুলো আরো সহজ করতে নিয়ন্ত্রণ সংস্থাকে সুপারিশ করা উচিত। ডিএসইর পরিচালক ড. এম কায়কোবাদ বলেন, নাসডাকের নিকট থেকে আমরা ডিএসইর সফটওয়ার নিয়েছি। পৃথিবীর বড় বড় শেয়ারমার্কেট তাদের সফটওয়ার ব্যবহার করছে। এ প্রযুক্তি ব্যবহারে যেসব সমস্যায় পড়ছি তা নিয়ে তাদের সঙ্গে আমরা আলোচনা করছি। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। শিগগিরই আমরা তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করব।সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে পরিচালক রুহুল আমিন, মোহাম্মদ শাহজাহান, খাজা গোলাম রসুল, শরীফ আতাউর রহমান, ডিএসইর উপ মহাব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান ছাড়াও ডিএসইর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এসআই/আরএস/পিআর
Advertisement