বিনোদন

প্রলম্বিত প্রহরে আতাউর রহমান

নাট্যদল নাট্যম রেপার্টরি হাজির হচ্ছে ‘প্রলম্বিত প্রহর’ নামের নতুন নাটক নিয়ে। আগামীকাল শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে এর প্রথম মঞ্চায়ন অনুষ্ঠিত হবে। নাটকটির গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে বহুদিন পর মঞ্চে ফিরছেন নন্দিত নাট্য ব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান। ডেভিট হেয়ারের ‘দ্য ভার্টিক্যাল আওয়ার’ অবলম্বনে ‘প্রলম্বিত প্রহর’ নাটকটি রূপান্তর করেছেন আবদুস সেলিম। আইরিন পারভীন লোপার নির্দেশনায় এই নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আতাউর রহমান, মিতা চৌধুরী, নূর জামান রাজা, লিটা খান এবং এ কে আজাদ সেতু। নাটকটির আলোক সজ্জায় জুনায়েদ ইউসুফ এবং সঙ্গীতে আহসান রেজা খান তুষার।নাটকের গল্পে দেখা যাবে, নাদিয়া বশির বাংলাদেশের এক প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। নাদিয়া নব্বইয়ের দশকে বসনিয়া-হার্জেগবিনায় যুদ্ধ সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করতেন। ২০০৩ সালের ইরাক যুদ্ধের সমর্থক ছিলেন। নাটকের শুরু তার ছাত্র দারিউস দাউদের লেখা প্রবন্ধ নিয়ে আলোচনা দিয়ে। সংলাপের এক পর্যায়ে দারিউস নাদিয়ার প্রতি তার অনুরাগের বিষয়টি উদঘাটিত করে। যদিও জানা যায় দারিউসের বাগদত্তা নির্বাচিত হয়ে আছে। হতভম্ভ নাদিয়া তাকে বের করে দেয়। নাদিয়া ও তার ছেলেবন্ধু পানাউল লতিফ অন্য এক শহরে বসবাসরত পানার বাবা ওবায়েদুল লতিফের সাথে দেখা করতে যায়। পানা নাদিয়াকে বিভিন্নভাবে সতর্ক করে তার বাবা একজন রীতিমত ব্যাভিচারী পুরুষ এবং ইরাক যুদ্ধবিরোধী। কিন্তু সে সতর্কে কান না দিয়ে নাদিয়া ও ওবায়েদ ইরাক যুদ্ধ নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে যেখানে নাদিয়ার পক্ষ সমর্থনে যুক্তি ছিল অতীতে ইরাকি জনগোষ্ঠীর উপর যে অত্যাচার হয়েছিল তার অন্তত ইতি ঘটাতে পেরেছে এই যুদ্ধ। অতীতে বসনিয়ায় এথনিক ক্লিনসিং-এর ব্যাপারে পশ্চিমা দেশগুলোর নিষ্ক্রিয়তা বিষয়েও তার ক্ষোভ প্রকাশ করে। বিষয়টির উপর ওবায়েদ একমত হয় না। এই বাক্যালাপের প্রেক্ষাপটে নাদিয়ার কাছে ওবায়েদ ও দারিউসের পারস্পরিক সম্পর্কের সঙ্কটাবস্থা স্পষ্ট হয়। দারিউস নাদিয়াকে খোলাখুলি জানিয়ে দেয় তার বাবা নাদিয়াকে যৌন সম্মোহন করতে চায় কারণ তার মা ওবায়েদকে ছেড়ে চলে গেছে তার এই ব্যাভিচারী স্বভাবের কারণেই।নাটকের শেষ দৃশ্যে দেখা যায় নাদিয়া তার আর এক ছাত্রী তাহেরা সারোয়ারের সাথে তাহেরার লেখা এক প্রবন্ধ নিয়ে আলোচনায় নিয়োজিত। প্রসঙ্গত তাদের ব্যক্তিগত বিষয়ও উপস্থাপিত হয়। এক পর্যায়ে নাদিয়া তাকে জানায় সে পুনরায় যুদ্ধ সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করবে বলে অধ্যাপনায় ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে।এলএ

Advertisement