ভোলায় ঋণ দেওয়ার প্রলোভনে গ্রাহকের প্রায় ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে রাতের আঁধারে উধাও ‘নবলোক’ নামে একটি এনজিও। প্রতারণার শিকার হয়ে দিশেহারা ৩ শতাধিক গ্রাহক। ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় এ ঘটনা ঘটেছে।
Advertisement
ভুক্তভোগী গ্রাহক আরজু বেগমের স্বামী মো. আলী, মরিয়ম বেগমের স্বামী মো. মিজানুর রহমান, আব্দুর রহমান ও স্থানীয়রা জানান, ২৮ জুন নবলোক নামে একটি এনজিও তজুমদ্দিন উপজেলার গোডাউন রোডে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে অফিস চালু করে। এরপর ওই এনজিওর এক নারীসহ তিন ব্যক্তি তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর, শম্ভুপুর, সোনাপুর, চাঁচড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে নারী ও পুরুষদের স্বল্প সুদে ৫ হাজার, ১০ হাজার, ২০ হাজার, ৫০ হাজার, ১ লাখ ও ২ লাখ টাকা দেবে বলে ২ থেকে ৩শ গ্রাহক অন্তর্ভুক্ত করেন।
প্রথমে গ্রাহকভর্তি বাবদ ২৫০ টাকা নেন। পরে ঋণ দেওয়ার কথা ও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার প্রলোভন দেখিয়ে ঋণের পরিমাণের ১০ শতাংশ টাকা অগ্রিম জমা নেন। সোমবার (৪ জুলাই) তাদের ঋণ দেওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু রোববার রাতেই ওই এনজিও কর্মীদের ফোন নম্বরে কল দিলে বন্ধ পান গ্রাহকরা। এরপর তারা দুপুরে অফিসে গিয়ে অফিস তালাবদ্ধ পান।
মুহূর্তের মধ্যে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে শত শত গ্রাহক অফিসের সামনে এসে জড়ো হন। এ অবস্থায় তারা তাদের টাকা কিভাবে ফেরত পাবেন তা নিয়ে চিন্তিত রয়েছেন।
Advertisement
বাড়ির মালিক কালাচাঁদ দাস বলেন, জুন মাসের শেষের দিকে তারা আমার একটি বাড়ি অফিস করার জন্য ভাড়া নেন। আগামী ৬ জুলাই তারা আমাকে এ বছরের অগ্রিম ভাড়া দিতে চেয়েছিল। কিন্তু রোববার সন্ধ্যার পর তাদের অফিস তালাবদ্ধ দেখে ফোন করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম জিয়াউল জানান, বিষয়টি তিনি লোকমুখে শুনেছেন। কিন্তু কোনো গ্রহক থানায় লিখিত অভিযোগ করেননি।
জুয়েল সাহা বিকাশ/এফএ/জেআইএম
Advertisement