‘অভিবাসী শ্রমিকরা মালয়েশিয়ানদের খাদ্য ভর্তুকি উপভোগ করছেন’, এমন মন্তব্যে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকব সমালোচনার মুখে পড়েছেন।
Advertisement
প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্য ঘিরে সোমবার (৪ জুলাই) সমালোচকরা এক বিবৃতিতে বলেছেন, অভিবাসী শ্রমিকরা মালয়েশিয়ায় বিনা মূল্যে বসবাস করছে না। বিলিয়ন বিলিয়ন রিঙ্গিত লেভি ও ট্যাক্সে অভিবাসী শ্রমিকরা অবদান রাখছেন।
প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকোব
সেলাঙ্গরের পারসাতুয়ান সাহাবাত ওয়ানিতার (মহিলা সমিতি) নির্বাহী পরিচালক জেভিয়ার বলছেন, মালয়েশিয়ায় অভিবাসীদের কাজ করার জন্য অভিবাসন বিভাগকে শুল্ক দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর এমন বিবৃতি অন্যায্য।
Advertisement
২০২২ সালের বাজেটের প্রাক্কলন অনুসারে, অভিবাসী শ্রমিকদের কাছ থেকে শুল্ক সংগ্রহ এ বছর প্রায় ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন হবে বলে অনুমান করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যা বলছেন তা ‘ভিত্তিহীন’।
মালয়েশিয়ান মহিলা সমিতির নির্বাহী পরিচালক জেভিয়ার
জেভিয়ার বলছেন, প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই আমাদের জানাতে হবে শুল্ক কোথায় যায়। তাদের থেকে কারা উপকৃত হয়েছে? আমি নিশ্চিত যে এটি অভিবাসী নয়।
শনিবার (২ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে বলেন বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিক ও রোহিঙ্গা শরণার্থীরা মালয়েশিয়ার করদাতাদের অর্থায়নে খাদ্য ভর্তুকি থেকে উপকৃত হচ্ছেন।
Advertisement
নর্থ-সাউথ ইনিশিয়েটিভের নির্বাহী পরিচালক আদ্রিয়ান পেরেইরা
জেভিয়ার বলছেন, প্রধানমন্ত্রী ভুলে গেছেন যে অভিবাসী সম্প্রদায় কঠোর পরিস্থিতিতে কম বেতনের জন্য মালয়েশিয়ানরা যে কাজগুলো করে না, অভিবাসী শ্রমিকরা সেগুলো করে অর্থনীতিকে সচল রেখেছে।
নর্থ-সাউথ ইনিশিয়েটিভের আদ্রিয়ান পেরেইরা বলেন, অভিবাসী শ্রমিকরা এক অর্থে মালয়েশিয়ানদের বিক্রয় কর, অভিবাসী শ্রমিক নিয়োগের খরচ এবং ভাড়া ও ইউটিলিটি বিলের মাধ্যমে ভর্তুকি দিচ্ছে।
অভিবাসী অধিকার বিশেষজ্ঞ অ্যান্ডি হল
অভিবাসী অধিকার বিশেষজ্ঞ অ্যান্ডি হল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যটি ‘গটার পলিটিক্স’ হিসেবে পরিগণিত। কারণ অভিবাসী শ্রমিকরা দেশে অনেক অবদান রেখেছে, তাদের উচ্চস্তরের উৎপাদনশীলতা প্রায়শই শ্রম শোষণকে দায়ী করা হয়।
এমআরএম/এমকেআর/এএসএম