দেশজুড়ে

খালে পড়ার ঝুঁকি নিয়ে সেতু পারাপার

মহম্মদপুর উপজেলা থেকে মাগুরা জেলা সদরে প্রবেশের একমাত্র যাতায়াত ব্যবস্থা বরুণাতৈল গ্রামের ভেতর দিয়ে। তবে প্রায় দুই বছর ধরে বরুণাতৈল গ্রামে কুমার ও নবগঙ্গা নদীর সংযোগ খালের ওপর নির্মিত সেতুর রেলিং ভেঙে অনিরাপদ হয়ে পড়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

Advertisement

সেতুটির দুই পাশের রেলিং ভেঙে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন আলোকদিয়া, বালিয়াডাঙা, পাতুরিয়া, বাকবাড়িয়া, বড়ৈই, গৃহকগ্রাম ও বারাশিয়া গ্রামসহ প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষ। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ছোট-বড় সবধরনের যানবাহনের চালকদের। বিকল্প পথ না থাকায় বাধ্য হয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই সেতু দিয়ে চলাচল করছেন সড়কটি ব্যবহারকারীরা।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সেতুটি সংকীর্ণ হওয়ায় একটি গাড়ি উঠলে অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় অন্য গাড়িকে। দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয় হেঁটে চলা মানুষদের। দুই বছর ধরে সেতুটির এই হাল। এখনো মেরামত করেনি কর্তৃপক্ষ। রেলিং ভেঙে নিচে পড়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। সেতুটি দ্রুত সংস্কার বা নতুন করে সেতু নির্মাণ করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

বরুণাতৈল গ্রামের ছবেদ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘সেতুটি অনেক পুরোনো হয়ে গেছে। এক পাশ দিয়ে একটা গাড়ি উঠলে আরেক পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। সেতুর মাঝখানে ভেঙে গেছে। যখন তখন বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। দ্রুত এটি ঠিক করা দরকার।’

Advertisement

পথচারী খালেক শেখ বলেন, ‘সেতুটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তারপরও এ সেতুর ওপর দিয়ে সাধারণ গাড়ির পাশাপাশি ১০ চাকার বালুবোঝাই গাড়িও চলছে। যে কোনো সময় সেতু ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।’ বরুণাতৈল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আতিফা বলে, ‘আমরা প্রতিদিন এই ব্রিজ পার হয়ে স্কুলে যাই। ব্রিজ পার হতে খুব ভয় করে।’

অটোচালক হাবিব জানান, কয়েকদিন আগে একটি ব্যাটারিচালিত ভ্যান রেলিংয়ের ভাঙা জায়গা দিয়ে উল্টে নিচে পড়ে যায়। তবে খারাপ কিছু ঘটেনি। তিনি বলেন, সেতুটি খুবই ঝুঁকি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এটা ঠিক করা দরকার।

এ বিষয়ে মাগুরা সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশিকুল ইসলাম বলেন, মাগুরা-মহম্মদপুর উপজেলা সড়কের বরুণাতৈলে অবস্থিত সেতুর কাজ দ্রুতই শুরু করা হবে। চলতি অর্থবছরে মধ্যে কাজ শুরু করা যাবে বলে আশা করছি।

এসআর/এএসএম

Advertisement