ছোট থেকেই প্রচণ্ড রাগী স্বভাবের। অন্যান্য পশুর চেয়ে সে কিছুটা ভিন্ন। গায়ের রং সাদা-কালো। ষাঁড়টির মালিক শখ করে নাম রেখেছেন ‘চিতা’। আসন্ন কোরবানি ঈদে ষাঁড়টি বিক্রি করা হবে। দাম হাঁকানো হচ্ছে দুই লাখ ৭০ হাজার টাকা।
Advertisement
জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার লালডোবা মহিষবাথান এলাকার বেলাল হোসেন প্রায় তিন বছর ধরে ষাঁড়টি লালনপালন করছেন।
ফ্রিজিয়ান দেশি ক্রস জাতের ‘চিতা’র ওজন সাড়ে ১১ মণ। এরই মধ্যে অনেকে ষাঁড়টি কেনার আগ্রহ প্রকাশ করলেও কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় বিক্রি করেননি বেলাল হোসেন।
বেলাল হোসেন বলেন, “আমি কৃষক মানুষ। অনেক আগে থেকেই গরু লালনপালন করছি। ষাঁড়টি আমার পালের (পোষা গাভি থেকে জন্ম নেওয়া)। জন্মের পর থেকেই তার মধ্যে ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। প্রচণ্ড রাগী হওয়ায় নাম রেখেছি ‘চিতা’।”
Advertisement
তিনি বলেন, ‘ছোট থেকেই খুদ, ভুসি এবং মিষ্টি আলু খাওয়াইছি। সামনে কোরবানি ঈদ তাই ষাঁড়টি বিক্রির চিন্তা করছি। কারণ এত বড় গরু লালনপালন করা আমার পক্ষে সম্ভব না। দুই লাখ ৭০ হাজার টাকা হলে বিক্রি করে দেবো। যেহেতু গরুটি আমার নিজের পালের তাই কেউ আগ্রহ প্রকাশ করলে দাম কমবেশি করা যেতে পারে।’
ষাঁড়টি দেখতে আসা স্থানীয় সাকিব হাসান জাগো নিউজকে বলেন, ‘গরুটি দেখতে সাইজে ছোট হলেও বেশ চঞ্চল। দেশীয় খাবার খাইয়ে পশুটি লালনপালন করছেন বেলাল হোসেন।’
মাদারগঞ্জ প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসন থেকে ‘কোরবানির হাট জামালপুর’ নামের একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম খোলা হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন জাতের গরুর ছবি আপলোড করে ক্রেতা আকর্ষণের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে ‘চিতা’ নামের যে পশুর নাম বলা হয়েছে সে সম্পর্কে আমার জানা নেই। গরুর মালিক যদি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাহলে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার চেষ্টা করা হবে।
নাসিম উদ্দিন/এসআর/এএসএম
Advertisement