শুধু হলিউড কিংবা বলিউড নয়, পৃথিবীর জনপ্রিয় সব মিউজিক রিলিজ হওয়ার পরই ডিজিটাল মাধ্যমে বৈধভাবে এখন পৌছে যাবে আপনার কাছে৷ এর সঙ্গে যুক্ত হবে বাংলাদেশের গান৷ একই প্ল্যাটফরমে আন্তর্জাতিক শিল্পীদের পাশাপশি বাংলাদেশি শিল্পীরা তাদের নিজেদের গান তুলে ধরতে পারবেন বিশ্ববাজারে৷ ডিজিটাল মিউজিকের অন্যতম বৃহৎ প্লাটফর্ম এমজ্যামস মিউজিককে বাংলাদেশি শ্রোতাদের কাছে নিয়ে আসতে যাচ্ছে মোবাইল কনটেন্ট ও প্রযুক্তির আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান মোবিমিডিয়া এবং শীর্ষ সংগীত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সনি মিউজিক৷ এম-জ্যামস মূলত মোবাইল ফোন বা অনলাইনে গান শোনার একটি জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশন৷ দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশে সফলতার পর বাংলাদেশসহ মিয়ানমার ও নেপালে নিজেদের কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে এমজ্যামস্৷ এম-জ্যামস মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বাংলাদেশি শ্রোতাদের কাছে অনলাইনে গান শোনার এক নতুন অভিজ্ঞতার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে যাচ্ছে বলে জানান মোবিমিডিয়ার আঞ্চলিক প্রধান ক্যামেরন জ্যাকসন৷ শুধু বৈধভাবে গান শোনাই নয়, এখানকার সংগীতপ্রেমিরা সবার আগে মানসম্পন্ন মিউজিক সেবা নিতে পারবেন৷ এখানে সনি মিউজিক লাইব্রেরী ও ওয়ারনার মিউজিক থেকে তারা পাবেন লাখ লাখ জনপ্রিয় গানের ভান্ডার৷ ইংরেজি গানের পাশাপাশি সনি মিউজিক ইন্ডিয়ার ব্যানারের জনপ্রিয় সব হিন্দি গানও থাকবে এখানে৷ গান শোনার সঙ্গে শিল্পীদের ছবি, মিউজিক ভিডিও, রিং ব্যাক টোন এবং গান ডাউনলোড করাও যাবে মোবিমিডিয়ার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থেকে।বাংলাদেশে নতুন এই মিউজিক সেবা সম্পর্কে সনি মিউজিকের (ভারত ও মধ্য প্রাচ্য) প্রেসিডেন্ট শ্রীধর শুভ্রমনিয়ম বলেন, সংগীতাঙ্গনে বাংলাদেশে যথেষ্ঠ বাজার সম্ভাবনা রয়েছে৷ সনি মিউজিক আশাবাদী, এম-জ্যামসের মত শক্তিশালী এবং দক্ষ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মিলে এখানে বিশ্বমানের একটি সেবা চালু হতে যাচ্ছে৷ বাংলাদেশে মোবিমিডিয়া ও এমজ্যামসের যোগাযোগ সমন্বয় প্রতিষ্ঠান কুকিজারের পক্ষ থেকে ইমরান মাহমুদ ইমন বলেন, বাংলাদেশি সংগীতকে বিশ্ববাজারে পৌঁছে দেওয়ার সবচেয়ে বড় সুযোগটি করে দিতে যাচ্ছে এমজ্যামস্৷ চালু হলে এম-জ্যামস মিউজিক স্টোরে আমরা যেমন আন্তর্জাতিক মিউজিক শুনতে পারব, সারা পৃথিবীতে আমাদের গান পৌছে দেওয়ার একটি নতুন সুযোগও তৈরি হবে এর মাধ্যমে৷এআরএস
Advertisement