মানুষ ইতিহাস আশ্রিত। অতীত হাতড়েই মানুষ এগোয় ভবিষ্যৎ পানে। ইতিহাস আমাদের আধেয়। জীবনের পথপরিক্রমার অর্জন-বিসর্জন, জয়-পরাজয়, আবিষ্কার-উদ্ভাবন, রাজনীতি-অর্থনীতি-সমাজনীতি একসময় রূপ নেয় ইতিহাসে। সেই ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা স্মরণ করাতেই জাগো নিউজের বিশেষ আয়োজন আজকের এই দিনে।
Advertisement
০৪ জুলাই ২০২২, সোমবার। ২০ আষাঢ় ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
ঘটনা১৮৪৮- কার্ল মার্কস ও ফ্রেডারিখ এঙ্গেলস কমিউনিস্ট পার্টির ইশতেহার প্রকাশ করেন।১৯২০- সিলেটে সিলেট জেলা খেলাফত কমিটি গঠিত হয় এবং হাওয়া পাড়ায় মৌলবী আবদুল্লাহ বিএল-এর বাসভবনে এর অস্থায়ী অফিসও প্রতিষ্ঠিত হয়।১৯৪৩- সিঙ্গাপুরের ক্যাথে সিনেমা হলে সুভাষচন্দ্র বসু রাসবিহারী বসুর কাছ থেকে ভারতীয় স্বাধীনতা লীগ ও আজাদ হিন্দ ফৌজের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন।১৯৪৪- সুভাষচন্দ্র বসুর বর্মাতে স্মরণীয় আহ্বান তোমরা আমাকে রক্ত দাও,আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব। ২০০১- মাওয়ায় পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জন্ম১০৯৫- একজন সিরীয় মুসলিম কবি, লেখক, ফারিস ও কূটনৈতিক উসামা ইবনে মুনকিজ।১৮০৭- আধুনিক ইতালির স্রষ্টা ও এক মহান বিপ্লবী জুসেপ্পে গারিবালদি।১৮৩১- বাংলা ভাষা ও বাংলা সাহিত্যের প্রথম ইতিহাস সহ বহু মূল্যবান গ্রন্থের প্রণেতা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সমাজসংস্কারক পণ্ডিত রামগতি ন্যায়রত্ন।১৯১৮- ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের মিডিয়াম পেস বোলার অ্যালেক বেডসার।১৯২৬- আর্জেন্টিনীয় ফুটবলার আলফ্রেদো দি স্তেফানো।
Advertisement
মৃত্যু১৯০২- আধুনিক ভারতের স্রষ্টা, লেখক এবং সন্ন্যাসী পরিব্রাজক স্বামী বিবেকানন্দ। উত্তর কলকাতার এক কায়স্থ দত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। ঊনবিংশ শতাব্দীর ভারতীয় অতীন্দ্রিয়বাদী রামকৃষ্ণ পরমহংসের প্রধান শিষ্য। তার পূর্বাশ্রমের নাম ছিল নরেন্দ্রনাথ দত্ত। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে হিন্দুধর্ম তথা ভারতীয় বেদান্ত ও যোগ দর্শনের প্রচারে প্রধান ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। তার রচিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য চিকাগো বক্তৃতা, কর্মযোগ, রাজযোগ, জ্ঞানযোগ, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বেদান্ত, ভারতে বিবেকানন্দ, ভাববার কথা, পরিব্রাজক, প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য, বর্তমান ভারত, বীরবাণী (কবিতা-সংকলন), মদীয় আচার্যদেব ইত্যাদি।১৯০৭- ‘হিতবাদী’ সম্পাদক কালীপ্রসন্ন কাব্যবিশারদ।১৯২৭- ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ, বাংলার নবজাগরণের সময়কালে প্রখ্যাত নাট্যকার।
১৯৩৪- মারি ক্যুরি, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী ও রসায়নবিদ।২০২১- ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’ খ্যাত গীতিকার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজল-এ-খোদা। ১৯৪১ সালের ৯ মার্চ পাবনার বেড়া থানার বনগ্রামে জন্ম তার। তৎকালীন পাকিস্তান বেতারের তালিকাভুক্ত গীতিকার হিসেবে ১৯৬৩ সাল থেকে কর্মজীবন শুরু করেন। পরের বছর তিনি পাকিস্তান টেলিভিশনেও তালিকাভুক্ত হন। ১৯৭১ সালে অসহযোগ আন্দোলন চলাকালে তার লেখা গণসংগীত ‘সংগ্রাম, সংগ্রাম, সংগ্রাম চলবে, দিন রাত অবিরাম’ গানটি তৎকালীন টেলিভিশন প্রচার করে। বিবিসির জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাংলা গানের তালিকায় সেরা ২০ গানের মধ্যে ফজল-এ-খোদার লেখা ‘সালাম সালাম হাজার সালাম গানটি’ ১২তম স্থান পেয়েছিল।
কেএসকে/জেআইএম
Advertisement