বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দুটো উড়োজাহাজের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বিমানের উড়োজাহাজ বোয়িং-৭৮৭ এবং বোয়িং-৭৩৭ এর ডানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
Advertisement
রোববার (৩ জুলাই) রাতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গারে বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনারের ডানায় (উইং) বিমানেরই আরেকটি ৭৩৭ উড়োজাহাজের ডানা আঘাত করে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, বিমান দুটির মধ্যে একটি আগে থেকেই পার্ক করা অবস্থায় ছিল। অন্যটি যাত্রী নামিয়ে পার্কিংয়ের দিকে আসছিল। তখনই এই সংঘর্ষ হয়। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে সংঘর্ষের কারণে ৭৮৭ উড়োজাহাজের ডান পাশের ডানা এবং ৭৩৭ উড়োজাহাজের বাম পাশের ডানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার গণমাধ্যমকে বলেন, বিমানের প্রকৌশল বিভাগের একটি দল ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছে। তবে দুর্ঘটনার কারণ, ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত হওয়ার পর জানা যাবে।
Advertisement
এর আগে গত ১০ এপ্রিল বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গারে বিমানের একটি বোয়িংয়ের আরেকটি বোয়িংয়ের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে দুটো উড়োজাহাজই কিছু দিনের জন্য বসে যায়। সে ঘটনায় গত ১১ মে বিমানের মুখ্য (প্রিন্সিপাল) প্রকৌশলীসহ পাঁচজনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
এরপর গত ৪ জুন বিমানের দাঁড়িয়ে থাকা একটি বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজে বেসরকারি এয়ারলাইন্স ইউএস বাংলার একটি ব্যাগবাহী ট্রলি এসে ধাক্কা দিলে উড়োজাহাজটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
গত ১৬ জুন বিমানের একটি বোয়িং-৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ যাত্রী নামানোর পর অঘটনের শিকার হয়। নিয়ম অনুযায়ী বোর্ডিং ব্রিজের সঙ্গে উড়োজাহাজের দরজার সংযোগ না খুলেই সেটি পার্কিংয়ে নেওয়ার জন্য ধাক্কা (পুশব্যাক) দিতে শুরু করেন রক্ষণাবেক্ষণে নিযুক্ত কর্মীরা। এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি জানালেও বিমান কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি করে।
বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীদের মাধ্যমে একের পর এক অঘটনের মধ্যেই ১৬ জুন বিমানের আরেকটি উড়োজাহাজ উড়ন্ত অবস্থায় সমস্যায় পড়ে। ল্যান্ডিং গিয়ারে সমস্যা দেখা দেওয়ার পর ৭৪ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে টেকনিক্যাল ল্যান্ডিং করে বিমানের অভ্যন্তরীণ রুটের ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজটি।
Advertisement
বিমানের প্রকৌশল বিভাগের কর্মীদের অভিযোগ, জনবল সংকট, নিয়মিত কর্মীদের প্রশিক্ষণ না হওয়ায় এ ধরণের দুর্ঘটনা ঘটছে। নিম্নপদের কর্মীদের দোষারোপ করে দায় এড়াচ্ছেন বিমানের প্রকৌশল বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
কেএসআর/