পদ্মা সেতু নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) প্রস্তাবে পদ্মা সেতুর বাজেট ছিল ১১ হাজার কোটি টাকা। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন ১০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে পদ্মা সেতুর কাজটা সম্পূর্ণ করতে হবে। এখন ১০ হাজার কোটি টাকা থেকে পদ্মা সেতুর খরচটা হিসাব করেন।
Advertisement
তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ না; পদ্মাসেতু নির্মাণে যে দুর্নীতি হয়েছে তার বিরুদ্ধে দেশের মানুষ।
রোববার (৩ জুলাই) দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তাহির রায়হান চৌধুরীর সহযোগিতায় শাল্লা উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দুই হাজার মানুষকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ শেষে এসব কথা বলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য আরও বলেন, ‘যমুনা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর যখন বিএনপি উদ্বোধন করে তখন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা সারাদেশে তিনদিনের হরতাল ডেকেছিলেন। কিন্তু পদ্মা সেতু নির্মাণের বিরুদ্ধে কোনো হরতাল, কোনো বিবৃতি দেয়নি দেশের রাজনৈতিক দলগুলো। শুধু তাই নয়, পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করে সব দুর্নীতি, অপকর্ম ঢাকার চেষ্টা করছে সরকার।’
Advertisement
নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিএনপি মাথা ঘামাচ্ছে না বলেও জানান গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন যদি ফেরেশতাও হয় এবং নির্বাচনের কমিশনের পাঁচজন যদি বিএনপিপন্থিও হয় তারপরও মানুষ নিজের ভোটটা দিতে পারবে কি না সেটা নিয়েও সন্দিহান।’
এ সময় নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট নিপুন রায়, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুল, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তাহির রায়হান চৌধুরীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ধলগ্রামে আরও দুই হাজার পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
লিপসন আহমেদ/এসআর/জেআইএম
Advertisement