২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আবারো সিলেটে বসতে যাচ্ছে বৈশ্বিক ক্রিকেট আসর অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট। আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ৯টায় সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান-আফগানিস্তান ও সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে লড়বে শ্রীলঙ্কা-কানাডা।এ ম্যাচ দিয়ে দীর্ঘ দুই বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। সংস্কারের বেড়াজালে মাঝে দু’বছর মাঠে ক্রিকেট গড়াতে পারেনি এ স্টেডিয়ামে। অন্যদিকে এবারই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হবে সিলেট জেলা স্টেডিয়ামের। বি গ্রুপের ৪টি দলই দুটি ভিন্ন ম্যাচে লড়াই করবে।ম্যাচের আগের দিন বুধবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিজেদের শেষ বারের মতো করে ঝালিয়ে নিয়েছে পাকস্তিান-আফগানিস্তান। বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত অনুশীলন করে পাকিস্তান ও দুপুর দেড়টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত অনুশীলন করে আফগানিস্তান। এছাড়া সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত অনুশীলন করে শ্রীলঙ্কা ও দুপুর দেড়টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত অনুশীলন করে কানাডা।সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলনের ফাঁকে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে পাকিস্তানের হেড কোচ মোহাম্মদ মসরুর জানান, অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সব দলই শক্তিশালী। কোনো দলকে অবহেলা করা যাবে না। বৃহস্পতিবার গ্রুপ পর্বে প্রথম ম্যাচে আমাদের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তাকে ছোট করে দেখছিনা। তাদের সঙ্গে ২০১৪ সালে সর্বশেষ লাহোরে সিরিজ খেলেছি। সেই সিরিজে আমাদের পক্ষে গেলেও একটি ম্যাচ জিততে সমর্থন হয় আফগানিস্তান।বাংলাদেশের কন্ডিশন সম্পর্কে পাক কোচ বলেন, এই দেশের কন্ডিশন আমার কাছে পরিচিত। ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের দল ব্রাদার্সের হয়ে খেলার তিন বছরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে। ২০০৪ সালে শেষবার যখন বাংলাদেশে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ হয়েছিল সেই আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান। এই আসরে এর ব্যাতিক্রম হবেনা বলে মনে করেন পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ।তবে অনুশীলন ম্যাচে ভারতের কাছে ৫ উইকেটের হার দলে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে তিনি মনে করেন। সর্বোপরি প্রথম ম্যাচ জিতে টুর্নামেন্টে শুভ সূচনা করতে চায় কোচ মোহাম্মদ মসরুরের দল।অপরদিকে, নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয় ছাড়া অন্য কিছু ভাবছে না কানাডা। নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়ে খেলতে পারলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় পাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন কানাডার কোচ এরোল বারও। দলের প্রয়োজন মুহূর্তে খেলোয়াড়েরা জ্বলে উঠবে বলে মনে করেন তিনি।দলের সেরা প্লেয়ার কে জানতে চাইলে কানাডিয়ান কোচ অধিনায়ক আবরাস খানের কথা বলেন। দলের প্রয়োজন মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ রান এনে দেয়ার সামর্থ রয়েছে তার। বোলিংয়ে কোচের ভরসার নাম প্রস্তুতি ম্যাচে ৫ উইকেট নেয়া বোলার কার্ট রামদার্থ।ওপেনাররা ভালো সূচনা এনে দিতে পারলে প্রতিপক্ষকে বড় টার্গেট নিয়ে চাপে ফেলে ম্যাচ জয় অনেকটা সহজ হয়ে যাবে। সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে অনুশীলনের ফাঁকে এমনটি জানান কানাডার কোচ এরোল বারও।বি গ্রুপের বাকি দুটি দল আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা টুর্নামেন্টে ভালো করার আশা প্রকাশ করেছে।ছামির মাহমুদ/বিএ
Advertisement