দেশজুড়ে

মাদক বিক্রি না করতে অনুরোধ জানালেন শেখ আফিল উদ্দিন এমপি

যশোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন বলেছেন, যারা মাদক ব্যবসা করে তারা দেশবিরোধী শক্রদের চেয়েও ভয়ানক খারাপ। মাদকের কালো থাবায় আজ শার্শা বেনাপোলের উঠতি বয়সী ছেলেমেয়েসহ অনেক যুবক ধংস হয়ে যাচ্ছে। যারা মাদক বিক্রি করে তারা যদি এ ব্যবসা থেকে সরে আসেন তাহলেই মাদকসেবীরা মাদক না পেয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে এক সময় ভালো হয়ে যাবে। মাদকের বিরুদ্ধে আগে জনগণকে সচেতন হতে হবে। জনগণ সচেতন হলে সম্ভব হবে মাদক বন্ধ করা। প্রশাসন কখনো মাদক ব্যবসা বন্ধ করতে পারবে না। প্রশাসনের উপর নির্ভর করে বসে থাকলে এ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না।তিনি আরো বলেন, স্বাধীন দেশের মানুষ যদি মাদক নেয় তবে সেটা বাঙালি জাতিকে লজ্জিত করে। আওয়ামী লীগের উন্নয়নের ধারায় মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। আজ থেকে মাদক সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের হাত গুটিয়ে ফেলতে হবে।শার্শা উপজেলায় কেউ যেন মাদকের ব্যবসা না চালাতে পারে। সে জন্য সীমান্ত এলাকায় বেনাপোলের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে শক্ত অবস্থানে থাকার পাশাপাশি শার্শা বেনাপোলের জনগণের কাছে কড়জোর করে মাদক ব্যবসা বন্ধের আহ্বান জানান তিনি।বুধবার বিকেলে বেনাপোলের সোনালী ব্যাংক চত্বরে যশোর জেলা প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর কর্তৃক আয়োজিত মাদকবিরোধী অভিযান ও প্রচারণা মাস উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।শার্শা উপজেলা সহকারী ভূমি কর্মকর্তা লিটন আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক নাজমূল কবীর, শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ নুরুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল, বেনাপোল পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল আজিজ আহম্মদ, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নাসির উদ্দিন প্রমুখ।অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তারা মদ, গাঁজা, ফেনসিডিল, হেরোইন, ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক যাতে সীমান্ত অতিক্রম করে দেশে ঢুকতে না পারে এবং কোনো মাদক ব্যবসায়ী আটক হলে তাকে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে না দিয়ে জেল হাজতে পাঠানোর জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান।এর আগে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মাদকবিরোধী র‌্যালিতে বেনাপোলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।মো. জামাল হোসেন/বিএ

Advertisement