থাইল্যান্ড ভ্রমণে আর কোনো বাধা রইলো না। দীর্ঘ ২৭ মাস পর পর্যটকদের জন্য করোনা বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে দেশটির সরকার। শুক্রবার (১ জুলাই) থেকে বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। তবে টিকার সনদ ও নেগেটিভ ফলাফল দেখাতে হবে।
Advertisement
গত বছরের ২২ মার্চ থেকে করোনা মোকাবিলার জন্য সারাবিশ্ব থেকে থাইল্যান্ডে আসা নাগরিকদের নানা বিধিনিষেধ চালু করে থাই সরকার। করোনার প্রথম দিকে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম ছিলো। এরপরে তা কমিয়ে ১০ দিন করা হয়। পরে আবারও একবার কমিয়ে সাতদিন করা হয়।
২০২১ সালের নভেম্বরে আরও একদফা কমিয়ে করা হয় ৫ দিনের কোয়ারেন্টাইন। পরে ফের কোয়ারেন্টাইন কমিয়ে ১ দিন করা হয়। এর নাম দেওয়া হয় ‘টেস্ট অ্যান্ড গো’। ২০২২ সালের ১ মে থেকে থাইল্যান্ড ভ্রমণের জন্য কোয়ারেন্টাইন নিয়ম উঠে গেলেও শুধু দরকার হতো থাইল্যান্ড পাস ও ১০ হাজার ডলারের স্বাস্থ্য ইনসুরেন্সের।
অবশেষে সেটারও আর দরকার হচ্ছে না ১ জুলাই ২০২২ তারিখ থেকে। এর ফলে দীর্ঘদিন পর থাইল্যান্ড ভ্রমণের কোভিড-১৯ এর সব বিধিনিষেধের সমাপ্তি হলো।
Advertisement
২০১৯ সালের শেষের দিকে চীনে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। এরপর গণহারে করোনা পরীক্ষা, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি ও বিভিন্ন এলাকায় লকডাউন দেওয়ার মধ্য দিয়ে কোভিডের সংক্রমণ ও মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমিয়ে আনতে সক্ষম হয় দেশটি।
তিন মাসের কঠোর প্রতিরোধ ব্যবস্থার মাধ্যমে করোনার উৎপত্তিস্থল উহান শহরকে করোনামুক্ত করতে সক্ষম হয় চীন সরকার। ২০২০ সালের ২৭ এপ্রিল হাসপাতাল থেকে ছাড় পান শেষ করোনা আক্রান্ত রোগী।
করোনার অতিসংক্রামক অমিক্রন ধরনের কারণে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে নতুন করে করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ে। সম্প্রতি চীনের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় জিলিন প্রদেশে করোনায় আক্রান্ত দুজনের মৃত্যু হয়। এ পর্যন্ত বিশ্বে ৬০ লাখের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে।
এমআরএম/জেআইএম
Advertisement