ক্যানসার চিকিৎসায় নতুন এক দিগন্তের উন্মোচন করেছে প্রোটন বিম থেরাপি। এখন পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের চেন্নাইয়ে গিয়ে এ সেবা নেওয়া যাবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার নিরাময়ে এরই মধ্যে অনন্য সাফল্য দেখিয়েছে নতুন এই থেরাপি।
Advertisement
শুক্রবার (১ জুলাই) রাজধানীর বনানীর একটি অভিজাত হোটেলে ভারতের অ্যাপোলো প্রোটন ক্যানসার সেন্টার (এপিসিসি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জনানো হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, প্রোটন থেরাপি এক ধরনের রেডিয়েশন থেরাপি, যেখানে প্রোটন নামের ক্ষুদ্র কণার মাধ্যমে ক্যানসার কোষের বিনাশ ঘটানো হয়। প্রোটন যদিও এ যুদ্ধে প্রয়োজনীয় রসদের জোগান দেয়, তবে এটি ফোটন থেরাপির মতো আক্রান্ত টিস্যুর আশেপাশে অন্যান্য সুস্থ টিস্যুর কোনো ধরনের ক্ষতি করে না। ফলে পারিপার্শ্বিক ঝুঁকিমুক্ত অবস্থায় এতে ক্ষতিকর টিউমারের বিনাশ ঘটাতে উচ্চমাত্রার রেডিয়েশন প্রয়োগ সম্ভব।
এপিসিসির সিনিয়র কনসালট্যান্ট রেডিয়েশন অনকোলজিস্ট ডা. স্বপ্ন নানজিয়া জানান, দেশে ক্যানসারের ক্রমশ বৃদ্ধি বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি প্রোটন বিম থেরাপি আমাদের আশা দেখাচ্ছে। এটি প্রয়োগের মাধ্যমে জটিল প্রকৃতির ক্যানসার কোষকেও নিখুঁতভাবে নিরাময় করা সম্ভব।
Advertisement
প্রোটন থেরাপি বিষয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের চিকিৎসায় এরই মধ্যে অনন্য সাফল্য দেখিয়েছে প্রোটন থেরাপি। এ মুহূর্তে এপিসিসিতে সবচেয়ে বেশি চিকিৎসা করা হচ্ছে মাথা ও গলার ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের। আগের চিকিৎসা-পদ্ধতির তুলনায় এতে চিকিৎসা চলাকালীন ও চিকিৎসা-উত্তর ভোগান্তি একেবারেই কম। রোগীকে ফের হাসপাতালে ভর্তি করা কিংবা নলের মাধ্যমে খাওয়ানোর মতো জটিল পরিস্থিতিরও প্রয়োজন পড়ে না।
‘অ্যাপোলোতে রয়েছে সর্বাধুনিক ফার্মাসিউটিক্যাল বেনিফিট স্কিম (পিবিএস) প্রযুক্তি, যার সুবাদে প্রতিটি টিউমারকে ধাপে ধাপে এবং স্তরের পর স্তর ভিত্তিতে পৃথকভাবে পর্যবেক্ষণ ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে এপিসিসিতে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন জামাল উদ্দিন, মিসেস নূর ই তামান্না ও মোজাম্মল হক চৌধুরী।
এএএম/এমআইএইচএস/এমপি/এমএস
Advertisement