জাতীয়

সন্তানদের বাবার স্থান পূরণ করতে পারিনি: ওসি সালাউদ্দিনের স্ত্রী

হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার ছয় বছর পূর্ণ হলো আজ। ২০১৬ সালের এ দিনে গুলশানে হলি আর্টিসানে সন্ত্রাসীরা হামলায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) দুই কর্মকর্তাসহ দেশি-বিদেশি ২২ জন নিরীহ নাগরিক নিহত হন। তাদের একজন বনানী থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন। অন্যজন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার (এসি) মো. রবিউল করিম।

Advertisement

দিনটি উপলক্ষে শুক্রবার (১ জুলাই) দুপুরে গুলশানে এ দুই পুলিশ সদস্যের সম্মানে স্থাপিত ভাস্কর্যে ‘দীপ্ত শপথ’ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন সালাউদ্দিনের স্ত্রী ও ছেলে।

‘দীপ্ত শপথ’ ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ওসি সালাউদ্দিনের স্ত্রী রেমকিম। তিনি বলেন, দুই ছেলে-মেয়ে প্রতি মুহূর্তে তাদের বাবাকে মিস করে। বাবার জায়গাটা আমি মা হয়ে শতচেষ্টা করেও পূরণ করতে পারিনি। তারা বাবাকে মিস করে না এমন কোনোদিন দেখিনি।

তিনি বলেন, মৃত্যুবার্ষিকী বলে যে আমরা মিস করছি, সেরকম না। প্রতিদিনই আমরা তাকে মিস করি। আমার বাচ্চারা কীভাবে যে বেড়ে উঠেছে…।

Advertisement

২০১৬ সালে হলি আর্টিসানে জঙ্গি হামলায় ওসি সালাউদ্দিন মারা যাওয়ার সময় তার মেয়ে পড়তো ক্লাস সেভেনে আর ছেলে ক্লাস টু পাস করেছিল। ছয় বছর পর মেয়ে দেশের বাইরে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন আর ছেলে রাজধানীর একটি স্কুলে পড়ছে ষষ্ঠ শ্রেণিতে।

হলি আর্টিসানে হামলার ছয় বছর পূর্তিতে শুক্রবার দুপুরে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস, পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এসবি প্রধান মনিরুল ইসলাম, ডিএমপির পক্ষ থেকে কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম, র্যাবের পক্ষ থেকে মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, ওসি সালাউদ্দিনের পরিবার এবং বিভিন্ন ইউনিটের পুলিশ সদস্যরা ফুল দিয়ে ‘দীপ্ত শপথ’ ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা জানান।

২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসীরা ভয়াবহ হামলা চালায়। এতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) দুই কর্মকর্তাসহ দেশি-বিদেশি ২২ জন নিরীহ নাগরিক নিহত হন। এই সন্ত্রাসী হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে অকালে আত্মত্যাগ করেন ডিএমপির দুই নির্ভীক কর্মকর্তা জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. রবিউল করিম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাহ উদ্দিন খান। গুরুতর আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা।

টিটি/এমএএইচ/এএসএম

Advertisement