চীনের হংকংয়ের নিয়ন্ত্রণ পাওয়ার ২৫তম বার্ষিকী শুক্রবার (১ জুলাই)। এ উপলক্ষে হংকং সফরে গেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তিনি বলেছেন, চীনের ‘এক দেশ দুই নীতি’ হংকংকে সুরক্ষা দিয়েছে এবং এটি দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা ও উন্নতির নিশ্চয়তা দিতে পারে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) চীনের আধা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটিতে সফরে যান দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তিনি আরও বলেছেন, ‘আগুন থেকে হংকং নতুন করে জন্ম নিয়েছে।’ গণতন্ত্রপন্থিদের বিক্ষোভের পর হংকংয়ে এটাই তার প্রথম সফর।
শুক্রবার (১ জুন) শি জিরপিং আরও বলেন, দীর্ঘ মেয়াদে মেনে চলতে হবে এই নীতি।
এদিকে, প্রতিবছর স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলন করে আসছে হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থিরা। সবচেয়ে বড় বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে ২০১৯ সালে। বিক্ষোভ ঠেকাতে ওই সময় ব্যাপক ধরপাকড় চালায় বেইজিং সরকার। ২০২০ সালে হংকংয়ের নিরাপত্তা ইস্যুতে কঠোর আইন পাস করে শি জিনপিং সরকার।
Advertisement
বেইজিংপন্থি জন লি গণতন্ত্রকামী হংকংয়ের পরবর্তী প্রধান নির্বাহী নির্বাচিত হয়েছেন এবার। গণতন্ত্রের দাবিতে করা আন্দোলন কঠোরভাবে দমনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন এই নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তা। এখন তার হাতেই হংকং পরিচালনার দায়িত্ব পড়লো।
৬৪ বছর বয়সী এই কর্মকর্তা বেইজিংয়ের জাতীয় নিরাপত্তা আইন বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন এবং ২০২০ সালে গণতন্ত্রকামী আন্দোলনকে চূর্ণ করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছেন জন লি।
বেইজিংয়ের সেই আইনের আওতায় হংকংয়ের ১৫০ জনের বেশি নাগরিককে আটক করা হয়। গণতন্ত্রপন্থি অনেক নেতাকেই জেলে যেতে হয় সে সময়। দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন অনেকে। সিভিল সোসাইটির সংগঠনগুলো ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি হংকংয়ে অ্যাপল ডেইলি ও স্ট্যান্ড নিউজের মতো মিডিয়া আউটলেটও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
যুক্তরাজ্যের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী হস্তান্তরের ৫০ বছর পর (২০৪৭ সালে) হংকংয়ের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পাবে চীন। এর আগপর্যন্ত স্বায়ত্তশাসিত ও স্বাধীন থাকবে অঞ্চলটি।
Advertisement
সূত্র: বিবিসি
এসএনআর/জিকেএস