জাতীয়

সংসদে রুমিন ফারহানার বক্তব্যে ক্ষেপলেন আইনমন্ত্রী

জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনে পদ্মা সেতু ও বিএনপি নিয়ে বেশি কথা বলা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছিলেন বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা।

Advertisement

এর পাল্টা জবাব হিসেবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আমরা কি তাহলে উনার (রুমিন ফারহানা) কাপড় নিয়ে কথা বলবো?

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অর্থ বরাদ্দের ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী।

এর আগে চলতি অধিবেশনকে বাজেট অধিবেশন না বলে ‘পদ্মা অধিবেশন’ বা ‘বিএনপি অধিবেশন’ নামকরণের কথা বলেন রুমিন ফারহানা।

Advertisement

এ প্রসঙ্গ টেনে আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা নাকি এখানে (সংসদে) খালেদা জিয়াকে বকাবকি করি। আমরা নাকি পদ্মা সেতু নিয়ে বেশি কথা বলছি। অথচ আমরা এই সংসদে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। পদ্মা সেতু অবশ্যই বাংলাদেশের জন্য বিরাট অর্জন। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা দেওয়ার পর যদি কোনো ঐতিহাসিক তাৎপর্যপূর্ণ স্থাপনা হয় সেটা হচ্ছে পদ্মা সেতুর অবকাঠামো। তো আমরা পদ্মা সেতু নিয়ে কথা বলবো নাকি উনার (রুমিন ফারহানা) কাপড়-চোপড় নিয়ে কথা বলবো? আমি তো তা করবো না।

পরে জননিরাপত্তা বিভাগের বরাদ্দের ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাব দেন রুমিন ফারহানা।

তিনি বলেন, যুক্তিবিদ্যার সবচেয়ে বড় ফ্যালাসি (কুযুক্তি) হচ্ছে যখন কোনো যুক্তি থাকে না, তখন ব্যক্তিগত আক্রমণ করা। উনি (আইনমন্ত্রী) যুক্তি না পেয়ে আমার পোশাক নিয়ে আলোচনা হবে কি না, এমন অভদ্র বক্তব্য দিয়েছেন। আমরা আইনমন্ত্রীর কাছে এমনটি আশা করি না। প্রধানমন্ত্রী একজন নারী, জাতীয় সংসদের স্পিকার একজন নারী। এই বক্তব্য পুরো সংসদের জন্য লজ্জার।

এদিকে ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনার জবাব দিতে গিয়ে আনিসুল হক বলেন, বিএনপির সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে এখানে বসে বলছেন নির্বাচন হয় না। তাহলে প্রশ্ন উঠতেই পারে উনি সংসদে গেলেন কীভাবে? এর জবাব দেবেন উনি।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, বিএনপির দাবি হচ্ছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হতে হবে। তাহলে উনারা ভোটে আসবেন। এই সংসদে দাঁড়িয় দ্ব্যার্থহীন ভাষায় বলতে চাই-বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে অবৈধ ঘোষণা দিয়েছে। উচ্চ আদালতের এই রায়ের এক সুতাও বাইরে যাবে না সরকার। কারণ বর্তমান সরকার আইনে বিশ্বাস করে।

আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বারবার বলছে তাদের নির্বাচনে আনতে হবে। তারা কি পাকিস্তানে থাকে যে সেখান থেকে ডেকে আনতে হবে? তারা তো বাংলাদেশে থাকে। উনারা নির্বাচন করতে চাইলেই করতে পারেন।

নির্বাচন কমিশনের বরাদ্দ ছাঁটাই করে এক টাকা দিতে বিএনপির প্রস্তাবের জবাবে আনিসুল হক বলেন, উনারা বলেছেন এক টাকা দিতে। উনারা পারবেন এক টাকা দিয়ে নির্বাচন করে দিতে? পারবেন না। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের জন্য কমিশনের টাকা লাগবে। নির্বাচন কমিশন তার অর্থ ব্যয়ে পুরোপুরি স্বাধীন।

অবসরের দুদিন আগে স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব হেলালুদ্দীনের বিদেশ সফরের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, বিদেশিদের আমন্ত্রণে ডেল্টা প্লানের বিষয়ে মন্ত্রী এবং সচিব টিম নিয়ে বিদেশে গিয়েছিলেন। তারা সেখান থেকে শিখে এসেছেন। এখানে কী কোনো অন্যায় আছে? জানি না উনি কোথা থেকে অন্যায় দেখলেন।

এইচএস/জেডএইচ/জেআইএম