ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট সিরিজের ভরাডুবির পর এবার টি-টোয়েন্টির লড়াইয়ে নামার অপেক্ষায় বাংলাদেশ দল। শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১১টায় শুরু হবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এই ম্যাচের আগে নিজ দলের বোলিং আক্রমণের ওপর আস্থার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স।
Advertisement
ঐতিহাসিকভাবেই বাংলাদেশ দলে নেই তেমন কোনো পাওয়ার হিটার। যারা আন্দ্রে রাসেল, জস বাটলার বা ডেভিড মিলারদের মতো মারকুটে ব্যাটিংয়ে চোখের পলকে বদলে দিতে পারেন ম্যাচের চিত্রনাট্য। যে কারণে টি-টোয়েন্টিতে ধারাবাহিকভাবে খুব একটা বড় সংগ্রহ দাঁড় করানো হয় না বাংলাদেশের।
সিডন্সের মতে অবশ্য টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের অত বড় সংগ্রহ দাঁড় করানোর প্রয়োজনীয়তাও খুব একটা নেই। দলের বোলিং ডিপার্টমেন্ট শক্তিশালী হওয়ায় স্কোরবোর্ডে ভালো সংগ্রহ দাঁড় করালেই তা জয়ের জন্য যথেষ্ট হবে বলে মনে করেন টাইগারদের এ অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটিং কোচ।
মূলত দলে পাওয়ার হিটার না থাকার কারণেই এমন কথা বলেছেন সিডন্স। তবে পাওয়ার হিটিংয়ের ঘাটতি ঢাকতে বেশি বেশি চার ও সিঙ্গেলের দিকে মনোযোগ দেওয়ার বার্তা দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি পাওয়ার হিটিংকে ভুলে গেলেও যে চলবে না, সে কথাও বলেছেন সিডন্স।
Advertisement
বিসিবির ভিডিওবার্তায় সিডন্স বলেছেন, ‘জাতি হিসেবে আমার মনে হয় না আমাদের খুব দীর্ঘকায় গড়নের খেলোয়াড় রয়েছে। যেমন জস বাটলার, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস স্টয়নিসদের মতো বড়সড় দৈহিক গড়ন আমাদের নেই... আমাদের অন্যভাবে উপায় খুঁজতে হবে। আমরা দৈহিক গড়নে অন্য দলগুলোকে পেছনে ফেলতে পারবো না।’
‘আমাদের বোলিং বিভাগ খুব ভালো। আমার মনে হয় না, আমাদের অনেক বেশি রান করতে হবে। বোর্ডে একটা ভালো সংগ্রহ দাঁড় করাতে হবে। এজন্য সিঙ্গেল অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তবে পাওয়ার হিটিং অবশ্যই টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জেতায়। যত বেশি বাউন্ডারি, তত বেশি ম্যাচ জেতা যায়। আমাদের পাওয়ার হিটিংয়ে মনোযোগ দিতে হবে, ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে।’
‘অনেক চার মারতে হবে... আপনি জানেন এটি (চার মারা) অনেকগুলো ছক্কা মারার মতোই। আমরা যদি অনেক চার মারতে পারি, অনেক সিঙ্গেল নিতে পারি... পাশাপাশি কিছু ছক্কা হাঁকালে আমরা বোর্ডে ভালো স্কোর দিতে পারবো। এরপর আমাদের বোলিং আক্রমণ বাকিটা সামলে নিতে পারবে। আমাদের পাহাড়সম রান করতে হবে না।’
এসএএস/এএসএম
Advertisement