দুই মাস আগে ভালোবেসে প্রেমিককে বিয়ে করেছিলেন তামান্না ইসলাম। বাবা-মাকে না জানিয়ে সুখের আশায় যে ঘর বেঁধেছিলেন সেখান থেকে লাশ হয়ে ফিরতে হলো তাকে।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৮ জুন) রাতে ফতুল্লা মডেল থানার ভুইগড় শিকদার বাড়ি বাবুল মিয়ার ভাড়া বাসা থেকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে স্বজনরা।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা মো. রিপন বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে স্বামী ইসমাইল হোসেনকে অভিযুক্ত করে মামলা করেন। পুলিশ ইসমাইলকে গ্রেফতার করে বুধবার বিকেলে কারাগারে পাঠায়।
মামলার বাদী রিপন বলেন, তামান্না মিরপুরের একটি বায়িং হাউসে চাকরি করতো। সেখানে ইসমাইলও চাকরি করতো। একই প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুবাদে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই সঙ্গে গত দুই মাস আগে কাউকে না জানিয়ে গোপন বিয়ে করে ফতুল্লার ভুইগড় এলাকায় বসবাস শুরু করে।
Advertisement
মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে ইসমাইল ফোন করে বলেন, তামান্না অভিমান করে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে ইসমাইলের দেওয়া ঠিকানায় গিয়ে প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি তাদের মধ্যে প্রায় ঝগড়া হতো। একই সঙ্গে আমার মেয়েকে শারীরিক নির্যাতন করতেন।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহাদাত হোসেন বলেন, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তরুণীর বাবা রিপন বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আমরা অভিযুক্ত ইসমাইলকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছি।
মোবাশ্বির শ্রাবণ/আরএইচ/জিকেএস
Advertisement