রাজনীতি

টিআইবির প্রতিবেদনের সমালোচনায় আওয়ামী লীগ

বাংলাদেশের দুর্নীতি নিয়ে বার্লিনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই)-এর করা প্রতিবেদনের সমালোচনা করে তা প্রত্যাখান করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করছেন, টিআইবির ওই প্রতিবেদন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বিশেষ মহলের স্বার্থে তৈরি করা। বুধবার সকালে টিআইবির প্রতিবেদন প্রকাশের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করেন তারা। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরেঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেন, ‘সরকার দুর্নীতিরোধে ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। দুর্নীতি যে নেই তা বলা যাবে না। তবে অনেক ক্ষেত্রেই কমে এসেছে। এমন সময় টিআইবির এই প্রতিবেদন রহস্যের সৃষ্টি করেছে। কিসের ভিত্তিতে তাদের এই প্রতিবেদন, তা খুঁজে বের করতে হবে।’তিনি বলেন, ‘টিআইবি এর আগেও এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। তারা সংসদ, সংসদ সদস্যদের অবমাননা করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। টিআইবির ব্যাপারে সরকারের নজরদারি বাড়ানো উচিত বলে মনে করি।’আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দুর্নীতিরোধে সরকার বদ্ধপরিকর। সব জায়গায় স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা বাড়ছে। এমন সময় টিআইবির এই প্রতিবেদন আমাদের অবাক করেছে।’ আওয়ামী লীগের আরেক নেতা খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘টিআইবির প্রতিবেদন নিয়ে মন্তব্য করার কোনো প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। কারণ তাদের প্রতিটি প্রতিবেদন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। বিদেশি অর্থায়নে পরিচালিত টিআইবি বিশেষ পক্ষকে খুশি করার জন্যই এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে।’  সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩তম বলে বুধবার টিআইবি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আগের বছর বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪তম। এ বছর দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ১ নম্বরে আছে যৌথভাবে সোমালিয়া ও উত্তর কোরিয়া। আর কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকার শীর্ষে আছে ডেনমার্ক।প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সালের সূচকে অন্তর্ভুক্ত মোট ১৬৮টি দেশের মধ্যে উচ্চক্রম (ভালো থেকে খারাপের দিকে) অনুযায়ী, বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৯তম। আগের বছর ১৭৫টি দেশের মধ্যে উচ্চক্রম অনুযায়ী, বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪৫তম। সূচকের ১০০ মানদণ্ডের মধ্যে ২০১৫ সালে বাংলাদেশের স্কোর বা নম্বর ২৫। আগের বছর বাংলাদেশের একই স্কোর ছিল।টিআইবি বলছে, স্কোর ভালো করার সুযোগ থাকলেও বাংলাদেশ তা করতে পারেনি। বৈশ্বিক গড় স্কোরের তুলনায় বাংলাদেশের ২০১৫ সালের স্কোর অনেক কম। তাই বাংলাদেশে দুর্নীতির ব্যাপকতা ও গভীরতা এখনো উদ্বেগজনক।এএসএস/এসএইচএস/আরআইপি

Advertisement