ফিচার

মাইকেল মধুসূদন ও আবুল হোসেনের প্রয়াণ

মানুষ ইতিহাস আশ্রিত। অতীত হাতড়েই মানুষ এগোয় ভবিষ্যৎ পানে। ইতিহাস আমাদের আধেয়। জীবনের পথপরিক্রমার অর্জন-বিসর্জন, জয়-পরাজয়, আবিষ্কার-উদ্ভাবন, রাজনীতি-অর্থনীতি-সমাজনীতি একসময় রূপ নেয় ইতিহাসে। সেই ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা স্মরণ করাতেই জাগো নিউজের বিশেষ আয়োজন আজকের এই দিনে।

Advertisement

২৯ জুন ২০২২, বুধবার। ১৫ আষাঢ় ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

ঘটনা১৬১৩- শেক্সপিয়ারের গ্লোব থিয়েটার ভস্মীভূত হয়।১৭৫৭- লর্ড ক্লাইভ মুর্শিদাবাদে প্রবেশ করেন এবং মীরজাফর বাংলা বিহার ও উড়িষ্যার নবাব হন।১৯১৩- নরওয়েতে নারীদের ভোটাধিকার প্রদান।১৯১৩- বলকান অঞ্চলে দ্বিতীয় যুদ্ধের সূচনা হয়।১৯৭৬- ব্রিটেনের কাছ থেকে সেইশেলস নামক দ্বীপপুঞ্জটি স্বাধীনতা লাভ করে।

জন্ম১৮৬৪- শিক্ষাবিদ, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য আশুতোষ মুখোপাধ্যায়।১৮৮৩- প্রখ্যাত অধ্যাপক ও লেখক চারুচন্দ্র ভট্টাচার্য।১৮৯৩- ভারতীয় বিজ্ঞানী, পরিসংখ্যানবিদ এবং ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্ত চন্দ্র মহলানবীশ।১৯০৯- আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণুবিজ্ঞানী শ্যামাদাস চট্টোপাধ্যায়,।১৯৩৬- ভারতীয় বাঙালি লেখক বুদ্ধদেব গুহ।

Advertisement

মৃত্যু১৮৭৩- উনিশ শতকের বাঙালি কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত। ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি বাংলা প্রেসিডেন্সির যশোর জেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত হিন্দু কায়স্থ পরিবারে জন্ম। ঊনবিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাঙালি কবি এবং নাট্যকার ও প্রহসন রচয়িতা। তাকে বাংলার নবজাগরণ সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব গণ্য করা হয়। ঐতিহ্যের অনুবর্তিতা অমান্য করে নব্যরীতি প্রবর্তনের কারণে তাকে আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম বিদ্রোহী কবি হিসেবেও অভিহিত করা হয়। তিনি বাংলায় নাটক, প্রহসন ও কাব্যরচনা করেন। বাংলা ভাষায় সনেট ও অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক তিনি। তার সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি অমিত্রাক্ষর ছন্দে রামায়ণের উপাখ্যান অবলম্বনে রচিত মেঘনাদবধ কাব্য নামক মহাকাব্য।২০০৩- মার্কিন অভিনেত্রী ক্যাথরিন হেপবার্ন।

২০১৪- বাঙালি কবি আবুল হোসেন। ১৯২২ সালের ১৫ আগস্ট বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার আরুয়াডাঙা গ্রামে জন্ম তার। ত্রিশের দশকে অবিভক্ত ভারতে তার লেখালিখির সূত্রপাত। ৪০ দশকের বাংলা ভাষার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কবি ছিলেন। বাংলা সাহিত্যের কবিতা শাখায় তার অবদানের জন্য তিনি ১৯৬৩ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে তার অবদানের জন্য ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করে।

২০১৫- বাংলাদেশি চিকিৎসা বিজ্ঞানী মুজিবুর রহমান।

কেএসকে/এমএস

Advertisement