বাংলাদেশি ১৩ কোম্পানির জিআরআইভিত্তিক সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (২৮ জুন) ডিএসই থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
Advertisement
ডিএসই জানিয়েছে, বাংলাদেশের কোম্পানিগুলোকে জিআরআইভিত্তিক সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট সম্পর্কে অবগত ও আগ্রহী করতে ২০২১ সালে ডিএসই ও জিআরআই যৌথভাবে অনেকগুলো টেকনিক্যাল সিরিজ আয়োজন করে।
ওই টেকনিক্যাল সিরিজগুলো থেকে জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে ১৩টি কোম্পানি জিআরআই ভিত্তিক সাসটেইনেবল রিপোর্ট তৈরি করেছে। এ বিষয়ে জিআরআই কর্তৃক প্রত্যায়িত স্থানীয় পরামর্শকারী প্রতিষ্ঠান আইওটা জিআরআই স্ট্যান্ডার্ড ভিত্তিক প্রতিবেদনের খসড়া তৈরির জন্য কোম্পানিগুলোকে অভ্যন্তরীণ প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দিয়েছে।
জুম প্ল্যাটফর্মে জিআরআই সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশ করা ১৩ প্রতিষ্ঠান হলো- ব্লু প্ল্যানেট গ্রুপ, এনভয় টেক্সটাইল লিমিটেড, জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেড, প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপ, নিউএজ গ্রুপ, ব্র্যাক ব্যাংক, বিটোপি গ্রুপ, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, লংকা-বাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড, ফ্লো-ওয়াটার সলিউশন লিমিটেড, ফ্লো-সোলার সলিউশন লিমিটেড এবং যমুনা ব্যাংক লিমিটেড।
Advertisement
অনুষ্ঠানে ডিএসই’র ট্রেনিং অ্যাকাডেমির উপ-মহাব্যবস্থাপক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জিআরআই-ডিএসই'র সহযোগিতামূলক উদ্যোগ ২০১৮ সাল থেকে শুরু হয়েছে। যার মাধ্যমে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্টের বিষয়ে সচেতনতা তৈরি হয় এবং সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্টগুলি প্রকাশ করা হয়।
ডিএসই এর আগে ২০১৯ সালে তাদের ওয়েবসাইটে ‘বাংলাদেশে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলির জন্য টেকসই প্রতিবেদন সংক্রান্ত নির্দেশিকা’ প্রকাশ করে। সহযোগিতামূলক উদ্যোগের অধীনে ডিএসই এবং জিআরআই এরইমধ্যে বেশকিছু কর্মশালা এবং প্রযুক্তিগত কর্মশালা পরিচালনা করেছে। যেখানে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
জিআরআই সাউথ এশিয়ার পরিচালক অদিতি হালদার বলেন, জিআরআই স্ট্যান্ডার্ডের ইএসজি রিপোর্টিংকে আরও কার্যকর এবং স্মার্ট উপায়ে সমর্থন করার জন্য ১০০টির বেশি দেশে তাদের কার্যক্রম রয়েছে। বাংলাদেশ জিআরআই’র জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ, যা উন্নত দেশ গড়ার লক্ষ্যে এর গুণগত বৃদ্ধি ও উন্নয়নে সহায়তার জন্য সাহায্য করবে।
আইওটিএ’র সিইও গোলাম কিবরিয়া বলেন, সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্টিং প্রকাশ করার জন্য ১৩টি বাংলাদেশি কোম্পানির সঙ্গে পরিকল্পনা থেকে শুরু করে রিপোর্ট সম্পন্ন করার জন্য দীর্ঘ ৮ মাস কাজ করতে হয়েছে। ইউরোপীয় সিএমআরডি একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যাদের ২৫০ জনের বেশি কর্মী এবং ৪০ মিলিয়ন ডলারের বেশি টার্নওভার রয়েছে তাদের বাধ্যতামূলকভাবে সাসটেইনেবল রিপোর্টিং করতে হবে। আর ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে বড় কোম্পানিগুলোকে এটি করতে হবে।
Advertisement
এমএএস/কেএসআর/এমএস