স্বাস্থ্য

করোনায় আরও ৩ জনের মৃত্যু, শনাক্তের হার ১৫.৪৭

মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৯ হাজার ১৪৫ জনে। একই সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৮৭ জনের। এ নিয়ে শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৬৯ হাজার ৩৬১ জনে। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

Advertisement

মঙ্গলবার (২৮ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এরআগে সোমবার (২৭ জুন) ২৪ ঘণ্টায় দুজনের মৃত্যু এবং ২ হাজার ১০১ জন নতুন রোগী শনাক্তের তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ওইদিন শনাক্তের হার ছিল ১৫ দশমিক ২০ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের ৮৮০টি ল্যাবরেটরিতে ১৩ হাজার ১৮৪টি নমুনা সংগ্রহ এবং ১৩ হাজার ৪৮৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

Advertisement

মহামারি শুরুর পর থেকে দেশে এ পর্যন্ত এক কোটি ৪৩ লাখ ১৯ হাজার ৩৬৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯৪ লাখ ২১ হাজার ৮৯০টি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪৮ লাখ ৯৭ হাজার ৪৭৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

একদিনে শনাক্ত ২ হাজার ৮৭ জন রোগীর মধ্যে এক হাজার ৭৯৫ জনই ঢাকা মহানগর ও জেলার বাসিন্দা। আর ঢাকা বিভাগের জেলা নারায়ণগঞ্জে ৪৭ জন, গাজীপুরে ১৫ জন, নরসিংদীতে ১৪ জন, ফরিদপুরে ছয়জন, কিশোরগঞ্জে চারজন, মানিকগঞ্জে পাঁচজন, রাজবাড়ীতে দুজন, শরীয়তপুরে তিনজন, টাঙ্গাইলে দুজন শনাক্ত হয়েছেন।

এছাড়া ময়মনসিংহ বিভাগে ১৫ জন, চট্টগ্রামে ১১২ জন, রাজশাহীতে ১১ জন, রংপুরে আটজন, খুলনায় ২১ জন, বরিশালে ২১ জন ও সিলেটে ছয়জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন।

এদিকে, একদিনে করোনাভাইরাস থেকে সেরে উঠেছেন ২০০ জন। এ নিয়ে দেশে করোনা থেকে সুস্থ হলেন ১৯ লাখ ৭ হাজার ৬৭ জন।

Advertisement

করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের দাপট শিথিল হয়ে আসায় গত ফেব্রুয়ারির পর থেকে দেশে সংক্রমণের হারও কমতে থাকে। এরই ধারাবাহিকায় গত ২৬ মার্চ দৈনিক শনাক্ত একশোর নিচে এবং ৫ মে তা আরও কমে ৪ জনে নামে। তবে গত ২২ মে’র পর থেকে সংক্রমণ আবারও ঊর্ধ্বমুখী রূপ নেয়।

গত ১২ জুন দৈনিক শনাক্ত ১০০ ছাড়ানোর মাত্র এক সপ্তাহের মাথায় তা আরও বেড়ে ৮০০ ছাড়িয়ে যায়।

এরইমধ্যে মঙ্গলবার দেশে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট বা উপ-ধরন শনাক্ত হওয়ার তথ্য জানিয়েছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারের একদল গবেষক। নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্টটির নাম দেওয়া হয়েছে বিএ.৪/৫ (BA.4/5)। বাংলাদেশি দুজনের শরীরে সাব-ভ্যারিয়েন্টটি শনাক্ত হয়েছে। যাদের একজনের বয়স ৪৪ বছর এবং অন্যজনের ৭৯ বছর।

নতুন উপ-ধরনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের একজন করোনা প্রতিরোধী ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ এবং অন্যজন দুই ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন হাসপাতালে, অন্যজন বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এএএইচ/এমএস