দেশজুড়ে

সাড়ে ৫ মাস পর দুই স্কুলছাত্রীর মরদেহ উত্তোলন

মাদারীপুরের মস্তফাপুরে চাঞ্চল্যকর দুই স্কুলছাত্রীর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বদিরুদোজ্জা শুভর উপস্থিতিতে এ মরদেহ উত্তোলন করা হয়। মরদেহ উত্তোলন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বদিরুদোজ্জা শুভ জানান, গত বছরের ১৩ আগস্ট স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ৮ম শ্রেণির দুই স্কুলছাত্রী সুমাইয়া আক্তার (১৪) ও হ্যাপী আক্তারকে (১৪) অপহরণের পর ধর্ষণ শেষে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় মাদারীপুর সদর হাসপাতালের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন নিহতের পরিবারের সন্তোষজনক না হওয়ায় হাইকোর্টে রুল জারি করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৩ জানুয়ারি হাইকোর্টের ক্রিমিনাল এপির বিচারক এম এনায়েতুর রহিম ও বিচারক আমির হোসাইনের দ্বৈত বেঞ্চ মরদেহ উত্তোলন করে পুনরায় ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন।এ ঘটনায় গত বছরের ১৪ আগস্ট নিহত সুমাইয়ার বাবা বিল্লাল শিকদার সদর থানায় একটি হত্যা মামলা ও ১৩ সেপ্টেম্বর হ্যাপীর মা মুক্তা বেগম বাদী হয়ে মাদারীপুর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুন্যাল আদালতে রানা নার্গাসীকে প্রধান আসামিসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে ধর্ষণ শেষে বিষ খাইয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় গ্রেফতারদের মধ্যে রানা ব্যতীত রকিব, শিপন ও রফিকুল সাম্প্রতি জামিনে বেরিয়ে আসে। বাকি আসামিরা এখনো পলাতক। বর্তমানে মামলা দুটি সিআইডির হাতে তদন্তাধীন থাকলেও দীর্ঘ সাড়ে ৫ মাসে চার্জশিট দাখিল করা সম্ভব হয় নি। নাসিরুল হক/এসএস/এমএস

Advertisement