অর্থনীতি

ই-কমার্সে নারীদের সুবিধা বাড়ানোর জন্য কাজ করবো

ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) নির্বাচনে কার্যনির্বাহী পরিষদের নয়টি পদের মধ্যে আটটিতে বিজয়ী হয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে শমী কায়সারের নেতৃত্বাধীন প্যানেল অগ্রগামী। গত ১৮ জুন এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, এরপর ২০ জুন বিজয়ী ৯ পরিচালকের মধ্যে পদ বণ্টন করা হয়। যেখানে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন ধানসিঁড়ি ডিজিটাল লিমিটেডের শমী কায়সার এবং কমজগৎ টেকনোলজির মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল।

Advertisement

ই-ক্যাব প্রতিষ্ঠার সাত বছরের মধ্যে এবারই প্রথম সংগঠনটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। এবার নিয়ে টানা তিনবার সংগঠনটির সভাপতি হলেন শমী কায়সার এবং চতুর্থবারের মতো সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল।

ই-ক্যাবের নতুন কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সহ-সভাপতি মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন, যুগ্ম-সম্পাদক নাসিমা আক্তার নিশা, অর্থ সম্পাদক আসিফ আহনাফ এবং পরিচালক সৈয়দা আম্বারিন রেজা, শাহরিয়ার হাসান, মো. ইলমুল হক ও মো. সাইদুর রহমান।

নির্বাচন, প্রতিশ্রুত ইশতেহার, কর্মপরিকল্পনা নিয়ে জাগো নিউজের সঙ্গে কথা বলেন নতুন কমিটির যুগ্ম-সম্পাদক, রিভারি করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরামের সভাপতি নাসিমা আক্তার নিশা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাইফুল হক মিঠু।

Advertisement

জাগো নিউজ: খুব কঠিন একট সময় পার করছেন?

নাসিমা আক্তার নিশা: আমি করোনা পজিটিভ (সাক্ষাৎকার গ্রহণের দিন)। সম্প্রতি আমার শ্বশুরও মারা গেলেন।

জাগো নিউজ: সমবেদনা, আপনার সুস্থতা কামনা করছি। প্রথমবারের মতো নির্বাচন হলো, কেমন লাগছে?

নাসিমা আক্তার নিশা: সবাই মিলে যে এত সুন্দর একটা নির্বাচন হবে এটা কল্পনাও করিনি। সুষ্ঠুভাবে, সুন্দরভাবে নির্বাচনটা কমপ্লিট করতে পেরেছি। যোগ্য প্রতিনিধিদেরই আমাদের ভোটাররা বের করে নিয়ে আসছেন। এটা আনন্দের একটা ব্যাপার। কাজ করার গতি আমরা পেয়েছি। মেম্বারদের প্রতি খুবই কৃতজ্ঞ।

Advertisement

জাগো নিউজ: ইশতেহার বাস্তবায়নে কীভাবে কাজ করার পরিকল্পনা করছেন?

নাসিমা আক্তার নিশা: আমরা ইশতেহারে বলেছি, এক মাসের মধ্যে নতুন অফিস নেবো। সেটা নিয়ে এরই মধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। নারীদের নিয়ে আমার বেশ কিছু প্ল্যান আছে। সেটাও ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন করবো। সরকার ও ই-ক্যাবের পক্ষ থেকে আরও কী কী সুবিধা বাড়ানো যায় সেটা নিয়েও আমরা কাজ করবো।

জাগো নিউজ: নতুন কমিটি জুলাই মাসে দায়িত্ব বুঝে নেবে। কোনো অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা আছে কী?

নাসিমা আক্তার নিশা: বন্যার কারণের আমরা খুব খারাপ একটা সময় পার করছি। সিলেট, সুনামগঞ্জসহ অনেক জেলা এখনো বন্যাকবলিত। আমরা চাইছি কোনো প্রোগ্রাম না করে বন্যাপীড়িত এলাকার মানুষের জন্য কিছু করতে। যে মানুষগুলো এখনো বন্যায় কষ্ট পাচ্ছেন তাদের সাহায্য করতে চাই। সেটা করতে পারলেই আমি মনে করি আমাদের সেলিব্রেশন করা হবে। উদযাপনের জন্য যে টাকা খরচ হতো সে টাকা বানভাসি মানুষের জন্য খরচ করতে চাচ্ছি। খাবার, ওষুধ বা যা যা লাগে, যতটুকু পারি আমরা বন্যার্তদের সেবায় অংশ নিতে চাই। বন্যা শেষ হোক, ঈদ যাক তারপর দেখা যাবে কী করতে পারি। কোনো অনুষ্ঠান করতে পারি কি না পরে দেখা যাবে।

জাগো নিউজ: অসুস্থতার মাঝেও সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।

নাসিমা নিশা: জাগো নিউজকেও ধন্যবাদ। আপনাদের মাধ্যমে সবার কাছে দোয়া চাই।

এসএম/এসএইচএস/এমএস