একটি বালিশ কিনতে লাগবে ৫২ লাখ টাকা। ভেবেই চক্ষু চড়কগাছ। বিশ্বের সবচেয়ে দামি এই বালিশ তৈরি করেছেন একজন ডাচ সার্ভিকাল বিশেষজ্ঞ-ডিজাইনার। ‘টেইলরমেড বালিশ’ বিশ্বের সবচেয়ে এক্সক্লুসিভ এবং উন্নত বালিশ।
Advertisement
আর্কিটেকচারাল ডাইজেস্ট অনুসারে, নেদারল্যান্ডসের থিজস ভ্যান ডার হিলস্ট এই বালিশটি তৈরির মূল কারিগর। থিজস ভ্যান ডার হিলস্টের এই বিশেষ বালিশ তৈরি করতে সময় লেগেছে ১৫ বছর। বালিশটির দাম ৫৭,০০০ মার্কিন ডলার! বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৫২ লাখ ৮১ হাজার টাকা। যদি নিজের সঙ্গে প্রিয় মানুষের জন্যও একটি কিনতে চান তাহলে গুনতে হবে কোটি টাকারও বেশি।
বালিশটি তৈরিতে হিলস্ট ব্যবহার করেছেন মিশরীয় তুলা ও তুঁত রেশম। সঙ্গে বিষহীন ডাচ মেমরি ফোমও দেওয়া হয়েছে এতে। বালিশে ভরার জন্য ব্যবহৃত তুলা এসেছে একটি রোবোটিক মিলিং মেশিন থেকে। এছাড়াও বালিশটি ২৪-ক্যারেট স্বর্ণ, হীরা এবং নীলকান্তমণি দিয়ে সজ্জিত।
বালিশটিতে ২৪-ক্যারেট সোনার আবরণ রয়েছে। এর চকচকে কাপড়ের আবরণ নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর ঘুমের জন্য সব ধরনের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক বিকিরণকে আটকে দেয়। দামের ট্যাগে একটি জিপার আছে যেখানে ব্যবহার করা হয়েছে একটি ২২.৫-ক্যারেট নীলকান্তমণি এবং চারটি হীরা।
Advertisement
হাই-টেক সলিউশন এবং পুরোনো ধাঁচের কারুশিল্পের সমন্বয়ে, এই টেইলরমেড বালিশ এখন পর্যন্ত তৈরি করা সবচেয়ে উদ্ভাবনী এবং পারসোনালাইজড বালিশ। বালিশটি একটি ব্র্যান্ডেড বাক্সে প্যাক করা হয়েছে। হিলস্টের দাবি, বালিশটি অনিদ্রায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের শান্তিতে ঘুমাতে সাহায্য করবে।
বালিশ তৈরির আগে একজন ব্যক্তির কাঁধ, মাথা এবং ঘাড়ের সঠিক মাত্রা একটি থ্রিডি স্ক্যানার ব্যবহার করে পরিমাপ করা হয়। এরপর বালিশটি ডাচ মেমরি ফোম দিয়ে ভরা হয়, যা উচ্চ প্রযুক্তির রোবোটিক মেশিন মিল ব্যবহার করে ব্যক্তির মাথার আকারের প্রেক্ষিতে তৈরি হয়।
বালিশ তৈরির আগে গ্রাহকের উপরের শরীরের পরিমাপ এবং ঘুমানোর ভঙ্গিও মাথায় রাখা হয়। আপনি ছোট হন বা বড়, পুরুষ বা নারী, পাশ ফিরে ঘুমান বা উল্টো করে, কোনো ব্যাপার না। এই টেইলরমেড বালিশ আপনাকে সর্বোত্তম উপায়ে আরাম দেবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশ্বের সবচেয়ে দামি বালিশ ভাইরাল হওয়ার পরেই, নেটিজেনরা বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করা শুরু করেছেন। অনেকেই বলছেন সেই বালিশ কিনলে, এমনিতেই ঘুম হবে না, কারণ চোরের ভয় থাকবে। তাই বলাই যায় বিশ্বের সবচেয়ে দামি এই বালিশ কিনে নির্ঘুম রাত কাটাতে হতে পারে আপনার। কারণে জেগে থেকেই পাহারা দিতে হবে এই বালিশকে।
Advertisement
সূত্র: এনডিটিভি
কেএসকে/জেআইএম