আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমের বিভিন্ন আয়াতে সবরের বয়ান করেছেন। সবর এমনই এক বিষয় যার ফলাফল দুনিয়া ও আখিরাতে অত্যন্ত সুস্বাদু। যারা সবর করেছে তারা ব্যতিত অন্য কেউই এর স্বাদ বুঝবে না। সবরের তাৎপর্য তুলে ধরা হলো-হাদিসে এসেছে-হজরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, সবর তিন প্রকার- ১. বিপদাপদের সময় সবর; ২. পাপাচার পরিহার করার সময় সবর; ৩. আল্লাহ তাআলা ও তাঁর প্রিয় রাসুলের হুকুম পালনার্থে সবর করা।সবরের গুরুত্ব বুঝাতে সাহাবায়ে কেরামের বক্তব্য তুলে হচ্ছে-ক. হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, সবর হলো ঈমানের রহস্য। যার মধ্যে সবর নেই, তার মধ্যে ঈমানও নেই।খ. হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, সবর দু’প্রকার ১. বিপদের সময় সবর অবলম্বন করা; ২. পাপাচার পরিহার করার সময় সবর, আর এ সবর উত্তম।গ. হজরত সাঈদ ইবনে যোবাইর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, মানুষের সব কিছু আল্লাহ তাআলার তরফ থেকেই হয়, এ কথা বিশ্বাস করা, ছাওয়াবের অন্বেষণ করা, বিপদাপদের জন্যেও আল্লাহ পাকের মহান দরবারে ছাওয়াব পাওয়া যাবে, একথা উপলব্দি করা হলো সবর। আল্লাহ তাআলার মর্জি মোতাবেক কার্যাবলীতে সবর করা কর্তব্য।সুতরাং আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে বিপদাপদসহ সর্বাবস্থায় সবর করার মাধ্যমে তার নৈকট্য অর্জন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/পিআর
Advertisement