জাতীয়

পদ্মা সেতুতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন বাইকাররা

রোববার ভোর থেকেই সব ধরনের যানবাহনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। এরপর থেকে অনেকেই বাইক ও প্রাইভেটকার নিয়ে সেতু পার হচ্ছেন। সেই সঙ্গে ট্রাক, বাসসহ বিভিন্ন ধরনের যান চলাচল করছে সেতু দিয়ে। তবে মোটরসাইকেলের উপস্থিতি দেখা গেছে সবচেয়ে বেশি।

Advertisement

সেতু ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রথমদিন দুপুর পর্যন্ত যেসব গাড়ি সেতু পার হয়েছে, তার মধ্যে ৬০ শতাংশ ছিল মোটরসাইকেল।

রোববার (২৬ জুন) পদ্মা সেতুর জাজিরা ও মাওয়া প্রান্তের টোল প্লাজায় গিয়ে দেখা যায়, মোটরসাইকেল আরোহীদের ব্যাপক উপস্থিতি।

এসময় জাজিরা প্রান্তের বেশ কয়েকজন আরোহীর সঙ্গে কথা হয়। তাদের বেশিরভাগই ঘুরতে এসেছেন বলে জাগো নিউজকে জানান।

Advertisement

জাজিরা প্রান্তে ছয়জন বাইকার একসঙ্গে এসেছেন সেতু পার হতে। টোল প্লাজা থেকে সেতুর একটু ভেতরে ঢুকেই ভি চিহ্ন দেখিয়ে ছবি তোলেন তারা। তারা ঘুরতে এসেছেন বলে জানান।

রাজধানীর পুরান ঢাকা থেকে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল নিয়ে এসেছেন হাসান। মাওয়া প্রান্তে টোল দিয়ে জাজিরা এসে আবার টোল দিয়ে ফিরে যান তিনি। জাজিরা প্রান্তে টোল দিয়ে জাগো নিউজকে বলেন, নতুন সেতু হলো, তাই ঘুরতে এসেছি।

প্রয়োজনের তাগিদেও অনেকে সপ্তাহে কয়েকবার ঢাকা-মাওয়া-জাজিরা রুটে যাতায়াত করেন বলে জানান।

দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার স্বপ্নের দুয়ার খুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২৫ জুন) উদ্বোধন হয়েছে পদ্মা সেতুর।

Advertisement

প্রথম যাত্রী হিসেবে টোল দিয়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন বেলা ১১টা ৪৮ মিনিটে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে প্রধানমন্ত্রী নিজ হাতে টোল দেন। এরপর তার গাড়িবহর সেতু উদ্বোধনের জন্য ফলকের স্থানে যায়। প্রধানমন্ত্রীসহ অতিথিরা গাড়ি থেকে নামেন। সেখানে প্রথমে মোনাজাত করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম মোনাজাত পরিচালনা করেন।

এরপর দুপুর ১২টার একটু আগে সুইচ টিপে সেতুর ফলক উন্মোচন করেন তিনি। এর মাধ্যমেই খুলে যায় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগের সড়ক পথের দ্বার।

এদিকে পদ্মা সেতুতে প্রথম ৮ ঘণ্টায় ৮২ লাখ ১৯ হাজার ৫০ টাকার টোল আদায় করা হয়েছে। এসময় গাড়ি চলাচল করেছে ১৫ হাজার ২০০টি।

এমআইএস/ইএ/জিকেএস